লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা অভিষেক, দলের মুখ্য সচেতক পদ থেকে ইস্তফা কল্যাণের
- The Conveyor
- Aug 4
- 2 min read

কলকাতা, ৪ অগস্ট, ২০২৫: লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তৃণমূলের সাংসদদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করছেন দলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই তাঁর ওই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন মমতা। অসুস্থতার জন্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় যেতে না পারায় বিভিন্ন মিটিংয়ে যাচ্ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারনেই অব্যাহতি দেওয়া হল সুদীপকে। এ বার সুদীপের জায়গায় অভিষেক। ছাব্বিশের ভোটের আগে বড় দায়িত্ব পেলেন অভিষেক।
বছর পেরোলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে অভিষেকের দায়িত্ব বৃদ্ধি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য নিয়ে বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই দলেও তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত কয়েক মাস ধরে সুদীপও অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর অসুস্থতা এতটাই গুরুতর যে, চলতি বাদল অধিবেশনে তাঁকে এক দিনও সংসদে দেখা যায়নি। তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য, এ হেন পরিস্থিতিতে লোকসভায় দলনেতা বদল করা অনিবার্যই ছিল। অধিবেশনের মধ্যেই তা করে দিলেন তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী। অনেকেই মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে তৃণমূলে পরবর্তী প্রজন্মকে তুলে আনার পালাবদলের পালা শুরু হল।
অপরদিকে লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পদ থেকে কল্যাণ পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এ দিনের বৈঠকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মধ্যে বাদানুবাদ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর। দুই শীর্ষ নেতৃত্বের প্রকাশ্যে এ হেন বিবাদ মেনে নেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। এদিন পদত্যাগের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় মহুয়াকে তুলোধনা করেন কল্যাণ। একটি পডকাস্টে মহুয়ার বক্তব্য নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি লেখেন, ”আমি সম্প্রতি মহুয়া মৈত্রর একটি পাবলিক পডকাস্টে করা ব্যক্তিগত মন্তব্যগুলি নোট করেছি। তার শব্দের নির্বাচন, যার মধ্যে একজন সহকর্মী সাংসদকে ‘শূকর’-এর সঙ্গে তুলনা করার মতো অমানবিক ভাষাও রয়েছে। এটা শুধু দুর্ভাগ্যজনক নয়, বরং স্বাভাবিক আলোচনার মৌলিক নিয়মগুলির প্রতি গভীর অবজ্ঞা প্রতিফলিত করে।”
শ্রীরামপুরের সাংসদ বলেন, ‘মমতাদি অভিযোগ করেছেন লোকসভায় সমন্বয় ঠিক মতো হচ্ছে না, ফলে আঙুল তো আমার দিকে তোলা হচ্ছে৷ তাই আমি ছেড়ে দিলাম।' সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকের শুরুতেই লোকসভায় দলের কয়েকজন সাংসদের মধ্যে চলা ব্যক্তিগত সংঘাতের বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি এমনও মন্তব্য করেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দলনেতার দায়িত্বে থাকার সময় এরকম হত না৷ এমন কি, লোকসভায় তৃণমূলের কাজকর্ম দেখার ভার কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেন তৃণমূলনেত্রী৷ এই বৈঠকের পরই পদ ছাড়েন কল্যাণ।













Comments