top of page

খবর 

কলকাতা, ১ ডিসেম্বর: নতুন বছর শুরু হতেই তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় পরীক্ষার্থীদের। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, সিবিএসই, আইসিএসই সহ বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয়ে যায় নিয়ম মেনে। তবে আগেও এই নিয়ে সমস্যা থাকলেও ইদানিং মাধ্যমিক- উচ্চমাধ্যমিক প্রশ্নপত্র ফাঁস একেবারে জলভাত হয়ে গেছে। যত দিন যাচ্ছে, প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে এই অনৈতিক কাজ বাড়িয়েই চলেছে এক শ্রেণীর অসাধু লোকজন। কিন্তু এই প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে এবারে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। 
               মাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাঁস রুখতে এবার থেকে হবে কোডের ব্যবহার। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর জন্য আলাদা আলাদা প্রশ্নে কোড থাকবে। উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীকে তার প্রশ্নের কোড লিখতে হবে। প্রশ্নপত্রের প্রত্যেকটি পাতায় থাকবে এই কোডের ব্যবহার। ছবি তুললেই পর্ষদের কাছে চলে যাবে সেই পরীক্ষার্থীর কোড। সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হবে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরীক্ষা কেন্দ্রেই নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ধরা সম্ভব। কোডেড সিরিয়াল নম্বর তৈরি করে প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে। ঠিক হয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রের ইনভিজিলেটররা প্রশ্ন বিলির সময়েই পরীক্ষার্থীদের ডেসক্রিপটিভ রোল (ডিআর) শিটে সেই সিরিয়াল নম্বর উল্লেখ করবেন। ডিআর শিটে সই করতে হবে দু’পক্ষকেই। এমনই জানানো হয়েছে পর্ষদের তরফে। 
                 এছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেটের অপব্যবহার রুখতে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর ব্যবহার করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর চৌহদ্দিতে ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও অনেক জায়গায় তা ঠিক ভাবে মানা হয় না।  ইলেক্ট্রনিক্স জিনিস যাতে কোনও ভাবেই পরীক্ষা হলে না থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে এবার আরএফডি ডিভাইস ব্যবহার করা হবে। সেই কারণে স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই কেন্দ্রগুলোয় এই ডিভাইস থাকবে। 

মাধ্যমিক- উচ্চমাধ্যমিক প্রশ্নপত্র রুখতে কড়া পদক্ষেপ 

Top Stories

bottom of page