খবর
কলকাতা, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫: বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয় রায়ের অপরাধকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে মনে করলেন না। কাজেই এদেশের সর্বোচ্চ সাজা ‘ফাঁসি’ নয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল সঞ্জয়কে। আমৃত্যু জেলে থাকতে হবে তাঁকে। সঙ্গে রাজ্য সরকারকে নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারক জানিয়েছেন, ৬৪, ৬৬ ও ১০৩(১) নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সঞ্জয়। যা বিরল ঘটনা নয়।
আদালতের এই সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারছেন না নির্যাতিতার বাবা-মা। বিচারকের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁরা অবশ্য প্রশ্ন তোলেননি। বরং ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের উপর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রশ্ন তুলেছেন সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে। জানিয়েছেন, ‘আমাদের হাতে কেসটা থাকলে অনেক আগেই ফাঁসির অর্ডার করিয়ে দিতাম। এটা এত গুরুত্বপূর্ণ একটি মামলা। ফাঁসি হলে অন্তত মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।’
মোট ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নির্যাতিতার বাবা আদালতের ভিতরেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ক্ষতিপূরণ নিতে চান না। বাইরে তিনি বলেন, ‘‘আমরা ক্ষতিপূরণ নেব না। বিচারককে বলেছি। আমরা তো এ ভাবে আমাদের মেয়েকে বিক্রি করতে পারব না। তাই টাকা নিতেই পারব না। প্রকৃত অপরাধী শাস্তি পেলে মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে।" এদিকে সাজা ঘোষণা হতেই সঞ্জয়কে বিড়বিড় করে বলতে শোনা যায়, 'বদনাম হয়ে গেলাম!'