top of page

মেট্রোর কাজে সেনার অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট


কলকাতা, ১৭ নভেম্বর: মেট্রো সম্প্রসারণের জন্য মোমিনপুর থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ময়দান চত্বরে প্রায় ৭০০টি গাছ কাটার প্রয়োজনিয়তা ছিল। কিন্তু, এই গাছগুলি কাটা হলে পরিবেশের উপর যথেষ্ট প্রভাব পড়তে পারে, এই আশঙ্কা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবেশপ্রেমীদের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শুক্রবার অর্থাৎ ১৭ নভেম্বর মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। শুনানি ছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে।

তিনি এই মামলার প্রেক্ষিতে বলেন, “মেট্রোরেল প্রয়োজনীয় এটা অনস্বীকার্য। কিন্তু ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। ময়দান শহরের বড় ফুসফুস। রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড যেন লড়াইয়ের জন্য এই মামলাকে না নেয়। আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি জলের তলায় প্রথম মেট্রো এখানেই। মামলাকারী পক্ষের অভিযোগ ছিল, কলকাতায় গাছ লাগানো যতটা উচিৎ, তার মাত্র ৩০ শতাংশ হচ্ছে। মামলাকারীর সেই অভিযোগের কথাও এদিন উঠে আসে। বিচারপতি বলেন, নতুন করে গাছ লাগানোর সংখ্যা ৩০ শতাংশেরও কম।”

এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলে, 'অতিরিক্ত নির্মাণ অনুমতিযোগ্য নয়'। সেনার অনুমতি ছাড়া নতুন করে গাছ কাটা যাবে না। তবে মেট্রো প্রোজেক্ট বন্ধ রাখার কথা বলেনি কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু অনুমতি ছাড়া কোনও গাছ কাটা যাবে না এটাই পর্যবেক্ষণ ছিল এমনটা বলে আদালতের বক্তব্য স্পষ্ট করল ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার এই শুনানির সময় রাজ্যের চিফ কনজ়ারভেটিভ ফরেস্টকেও মামলায় স্বতঃপ্রণোদিত যুক্ত করেছে হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, এদিন মামলার শুনানিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে জানানো হয়, নতুন করে গাছ বসানোর করার কাজ এখনও শুরু হয়নি। সেই নিয়ে কলকাতা পুরনিগমের কী ভূমিকা রয়েছে, তাও জানতে চান প্রধান বিচারপতি। মামলায় হেরিটেজ কমিশনের বক্তব্যও জানতে চাওয়া হয়েছে, কারণ খুব কাছেই রয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। আগামী ১৯ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

প্রসঙ্গত, মেট্রোর পার্পল লাইনের অংশ হিসেবে ময়দানে নয়া স্টেশন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আর এই জন্যই গাছ কাটার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু, পিপল ইউনাইটেড ফর বেটার লিভিং ইন ক্যালক্যাটা (পাবলিক) নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। পরিবেশবিধি না মেনে এবং প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটার অভিযোগ তুলেছিল তারা। মেশিন এবং অন্যান্য জিনিস পরিবহণ করার সুবিধা করতে ২০০টির বেশি গাছ কাটার পরিকল্পনা আছে, এমনটাই জানানো হয়েছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে। পরিবর্তে অন্য জায়গায় গাছ লাগানো হবে বলে দাবি করে মেট্রো।


Top Stories

bottom of page