নবাবের শহর লখনউ, ইউনেস্কোর বিচারে বাহারি স্বাদের দিক থেকে ‘সৃজনশীল শহর’-এর তালিকায় জায়গা করে নিল
- The Conveyor
- 1 day ago
- 2 min read

১ নভেম্বর, ২০২৫: ‘বাহারি স্বাদের শহর’। তকমা পেল লখনউ। সম্প্রতি বিশ্বের ৫৮টি শহরকে ‘সৃজনশীল শহর’-এর তালিকায় যুক্ত করেছে ইউনেস্কো। এর মধ্যে রয়েছে লখনউও। বাহারি স্বাদের দিক থেকে ‘সৃজনশীল শহর’-এর তালিকায় জায়গা পেয়েছে নবাবের শহর লখনউ। গত ৩০ অক্টোবর উজবেকিস্তানের সমরকন্দে ওই তালিকা প্রকাশ করেছে ইউনেস্কো। এই নিয়ে বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশের ৪০৮টি শহর ইউনেস্কোর ‘সৃজনশীল শহর’-এর তকমা পেল।
ইউনেস্কোর ঘোষিত নতুন ৫৮টি শহরের মধ্যে বাহারি খাবারের জন্য লখনউ ছাড়া সৃজনশীলতার তকমা পেয়েছে পর্তুগালের মাতোসিনহোস এবং ইকুয়েডরের কুয়েনকা শহর। সঙ্গীতের জন্য সৃজনশীলতার স্বীকৃতি পেয়েছে কেনিয়ার কিসুমু এবং অস্ট্রেলিয়ার নিউ অরলিন্স। নকশায় সৃজনশীলতার জন্য স্বীকৃতি পেয়েছে সৌদি আরবের রিয়াধ। এ ছাড়া চলচ্চিত্রের জন্য মিশরের গিজা এবং স্থাপত্যের জন্য ফিনল্যান্ডের রোভানিয়েমিও সৃজনশীল শহরের স্বীকৃতি পেয়েছে।
লখনউয়ের এই নতুন স্বীকৃতির পরে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি লিখেছেন, ‘‘লখনউ মানে এক প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, যার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে রন্ধন-সংক্রান্ত এক দুর্দান্ত সংস্কৃতি। লখনউয়ের এই বিষয়টিরে ইউনেসকো স্বীকৃতি দেওয়ায় আমি আনন্দিত।’’ বিশ্ববাসীকে লখনউয়ে ঘুরতে আসার জন্যও আহ্বান জানান মোদী।
এর আগে হায়দরাবাদকে বাহারি স্বাদের শহর হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। এ বার সেই তালিকায় জুড়ল লখনউও। রাস্তার ধারে বিভিন্ন পুরনো রেস্তরাঁর ‘চাট’ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কবাব এবং আওয়াধি খাবারের জন্য বিখ্যাত লখনউ। শহরের কালজয়ী খাবারগুলি হল গালৌটি কাবাব, আওয়াধি বিরিয়ানি, টোকরি চাট, পুরি-কচোরি, মালাই গিলোরি, মাখন মালাই এবং মোতিচুর লাড্ডু এবং আরও অনেক। কেবল রেসিপি হিসেবেই নয় বরং সাংস্কৃতিক আখ্যান হিসেবেও পালিত হয়েছে এই ঐতিহাসিক খাবারগুলি। এগুলি লখনউয়ের পরিশীলিততা এবং উষ্ণতার সামঞ্জস্য, শৈল্পিকতা এবং সম্প্রদায়ের মিশ্রণকে প্রতিফলিত করে। এই মাইলফলক উত্তর প্রদেশের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, খাদ্য-ভিত্তিক পর্যটন, স্থানীয় কর্মসংস্থানের পথ উন্মোচন করে। লখনউয়ের স্বীকৃতি এমন একটি শহরের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি যেখানে খাবার ঐতিহ্য, আতিথেয়তা সংস্কৃতি এবং প্রতিটি স্বাদ সেখানকার মানুষের গল্প বলে।
উত্তরপ্রদেশের পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জয়বীর সিং বলেন, "এই স্বীকৃতি কেবল লখনউয়ের রন্ধনসম্পর্কীয় ঐতিহ্যকেই তুলে ধরে না, বরং ভারতের উন্নয়নের ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশের ভূমিকাকেও শক্তিশালী করে। তিনি আরও বলেন, রন্ধনসম্পর্কীয় পর্যটন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে উত্তরপ্রদেশে পর্যটকদের আকর্ষণ করে আসছে এবং আগামীতেও এই ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য রাজ্যটির অপরিসীম সম্ভাবনা রয়েছে।"













Comments