top of page

অফিস টাইমে ফের মেট্রো লাইনে পাওয়া গেল মৃতদেহ


কলকাতা, ২২ নভেম্বর: ফের মেট্রো বিভ্রাট। কলকাতা মেট্রোর লাইন থেকে মিলেছে দেহ। ঘটনাকে ঘিরে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায় অফিস টাইমে মেট্রো স্টেশনের অন্দরে। মেট্রোর মোটরম্যান সকাল ৯. ৪৭ মিনিট নাগাদ এব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করেন। কিছুক্ষণের জন্য স্থগিত করা হয় পরিষেবা।

সূত্রের খবর, দেহ উদ্ধারের জন্য় সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ লাইনে পাওয়ার ব্লক করা হয়। দেহ তোলার জন্য় ৪৫ মিনিট ধরে আংশিক বন্ধ ছিল মেট্রো রেল। ৪৫ মিনিট পরে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। ১০.৫৯ থেকে সম্পূর্ন পরিষেবা চালু করা হয়েছে।

মেট্রো লাইনে পাওয়া ওই দেহ কার, এখনও তা জানা সম্ভব হয়নি। মেট্রো স্টেশনের সর্বত্র সিসি ক্য়ামেরা রয়েছে। সেক্ষেত্রে দেখা হচ্ছে এটা আত্মহত্যা নাকি অন্য় কোনও ঘটনা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই চলে আসেন মেট্রোর আধিকারিকরা। চলে আসে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিস। দেহের ময়না তদন্ত হবে বাঙ্গুর হাসপাতালে। বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে এই ঘটনা নিয়ে।

বুধবার সকালে থেকেই যথারীতি মেট্রো পরিষেবা চালু হয়েছে। কিন্তু মোটরম্যান দেহটি দেখলেন ৯টা ৪৭ মিনিটে। তাহলে তার আগে যেসব চালক ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেছিলেন তারা কি দেহটি দেখতে পাননি, নাকি সেইসময় দেহটি সেখানে ছিল না? যাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে তিনি মেট্রোর কর্মী নন। তাহলে তিনি টানেলের মধ্যে রবীন্দ্র সরোবর ও মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশনের মধ্য়ে প্রায় ১ কিলোমিটার গেলেন কীভাবে? থার্ড লাইন দিয়ে কীভাবে একজন প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে এলেন? নাকি ওই ঘটনার পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে?

ওই ঘটনা নিয়ে মেট্রো রেলের তরফে বলা হয়, মেট্রোর কাছেও এই ঘটনা নতুন। তদন্ত শুরু হয়েছে। আগের ট্রেনের মোটর ম্যান কেন দেখতে পেলেন না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ট্রেনের ধাক্কায় এই মৃত্যু নয়। দুটি সংশ্লিষ্ট স্টেশনের সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের আগে আর বেশি কিছু বলা যাবেনা।

Top Stories

bottom of page