২০০২-র লিস্টের ডিটেইলস ম্যাচিং হলেও প্রয়োজনে ভোটারদের হিয়ারিং- এ ডাকা হতে পারে
- The Conveyor
- 20 minutes ago
- 2 min read

কলকাতা, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫: আগামী ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে পশ্চিমবঙ্গের খসড়া ভোটার তালিকা। তার পরেই হিয়ারিং। রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে খবর, ২০২৫-এর ভোটার তালিকার সঙ্গে কারও ২০০২-র লিস্টের ডিটেইলস ম্যাচিং হলেও তাঁকে হিয়ারিং- এ ডাকা হতে পারে। ম্যাচিং না পেলে তো হিয়ারিং- এ ডাকা হবেই। তথ্য যাচাইয়ের জন্যেই হিয়ারিং- এ ডাকা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। আসলে নতুন এন্ট্রিতে অনেক ভোটারের নাম কিংবা বাবার নাম বদলে গিয়েছে। ২০০২ সালের তালিকায় যে নাম ছিল, আর এখন যে নাম রয়েছে, দুইয়ে মিল নেই। এই সব ভোটারের তথ্য ফের যাচাই করে দেখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তথ্যে কোথায় গলদ রয়েছে, তা পুনরায় খতিয়ে দেখবেন বিএলও, ইআরও- রা।
একাধিক জেলায় বিএলও- দের নানা অভিযোগ উঠে আসার পরেই সাত দিন সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এ দিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল বলেন, ‘৭ দিন বেড়ে যাওয়ায় বিএলও- দের অনেকটাই সুবিধা হবে। ডেটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে ভুল হয়ে থাকলে সংশোধনের সুযোগ থাকবে বিএলও- রা।’ উল্লেখ্য, সোমবারই বিএলও এবং ইআরও-দের এনুমারেশন ফর্মের ভুল এন্ট্রি সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটারদের তথ্য এন্ট্রি করার ক্ষেত্রে কোনও ভুল হয়ে থাকলে এ বার তা সংশোধন করা যাবে। আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত এনুমারেশন ফর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা।
এদিকে রাজ্যের মোট বুথসংখ্যা ৮০,৬৮১টি বুথ রয়েছে। এর মধ্যে ২২০৮টি বুথ থেকে একটিও ‘Uncollectible Form’ পাওয়া যায়নি। যা দেখে অবাক রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। সংশ্লিষ্ট বুথগুলির ডিইও এবং ইআরও - দের থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তালিকায় সবথেকে বেশি সংখ্যক বুথ দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এই জেলার ৭৬০টি বুথ থেকে আনকালেকটিবল ফর্ম পাওয়া যায়নি। এর পরে রয়েছে পুরুলিয়া (২২৮টি বুথ), মুর্শিদাবাদ (২২৬টি বুথ), মালদা (২১৬টি বুথ), নদিয়া (১৩০টি বুথ) রয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের মোট ৫৪২টি বুথ থেকে মাত্র ১টি করে আনকালেকটিবল ফর্ম সংগ্রহ হয়েছে। ২টি করে আনকালেকটিবল ফর্ম সংগ্রহ হয়েছে ৪২০টি বুথ থেকে। ৩টি করে আনকালেকটিবল ফর্ম পাওয়া গিয়েছে ৩৭২টি বুথ থেকে। তা হলে কী ওই বুথগুলিতে একটিও মৃত ভোটার, ডুপ্লিকেট ভোটার, পার্মানেন্টলি শিফটেড ভোটার পাওয়া যায়নি? ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছেতাই নিয়ে। সেই কারণেই তড়িঘড়ি রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।













Comments