ভারতের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ
- The Conveyor
- Sep 9
- 1 min read

৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫: ভারতের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন এনডিএ মনোনীত প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণণ। সংসদের দুই কক্ষেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় এই নির্বাচনে রাধাকৃষ্ণণের জয় প্রত্যাশিতই ছিল। ‘ইন্ডিয়া’ প্রার্থী বি সুদর্শন রেড্ডিকে ১৫২ ভোটে হারিয়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হলেন এনডিএ প্রার্থী রাধাকৃষ্ণণ। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই রাধাকৃষ্ণণকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
এনডিএ-সমর্থিত প্রার্থী রাধাকৃষ্ণণ ৪৫২ ভোট পেয়েছেন, আর সুদর্শন রেড্ডি ৩০০ ভোট পেয়েছেন। এদিন, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে, রাজ্যসভা এবং লোকসভার সকল সদস্য ইলেক্টোরাল কলেজে ছিলেন। কংগ্রেস জানিয়েছে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মোট ৩১৫ জন বিরোধী সাংসদ ভোট দিতে উপস্থিত ছিলেন। লোকসভা এবং রাজ্যসভার সদস্যদের নিয়ে গঠিত ইলেক্টোরাল কলেজের সংখ্যা ছিল ৭৮১। যদিও ২০২২ সালে জগদীপ ধনখড় যে ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন, এ বার এনডিএ-র জয়ের ব্যবধান তার চেয়ে অনেকটাই কম।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত ২১ জুলাই বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনে হঠাৎই উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড়। তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য মঙ্গলবার ভোটাভুটি হল। জয়ী রাধাকৃষ্ণণ আগামী পাঁচ বছর ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুরে জন্ম চন্দ্রপুরম পোন্নুস্বামী রাধাকৃষ্ণণের। রাধাকৃষ্ণণ আরএসএসের সদস্য এবং ভারতীয় জনসংঘের রাজ্য কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বিজেপির তামিলনাড়ু ইউনিটের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ১৯৯৮ সালে কোয়েম্বাটুর থেকে প্রথমবারের মতো লোকসভায় নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পুনরায় সেই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাধাকৃষ্ণণ ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন এবং এর আগে তিনি প্রায় দেড় বছর ধরে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সিপি রাধাকৃষ্ণণ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি নিজের কলেজ জীবনে একজন ক্রীড়াবিদ ছিলেন। ছিলেন টেবিল টেনিসে চ্যাম্পিয়ন।













Comments