বাংলার ঢাকিদের ভিন রাজ্যে গিয়ে বাজানোর জন্য পরিচয়পত্র দিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন
- The Conveyor
- Sep 11
- 2 min read

কলকাতা, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫: ডিজিটাল দুনিয়ায় বিভিন্ন ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। অন্যতম হল ঢাকের বাদ্য, বলা ভালো ঢাকি। পুজো এলেই যাদের কথা ভেবে পুরোনো দিনে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। ইদানিং বিভিন্ন মণ্ডপে আর ঢাকির দেখা মেলে না। ঢাক বাজে ল্যাপটপ বা সাউন্ড বক্সে। এই শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে। সরকার মাসে মাসে শিল্পীদের হাজার টাকা করে ভাতা দেয়। কিন্তু ঢাকিদের চাহিদা হারাচ্ছে। যদিও এখনও কিছু কিছু জায়গায় ঢাকিদের চাহিদা রয়েছে। বছরভর ঢাকিরা বসে থাকেন সেই সমস্ত জায়গায় গিয়ে নিজেদের শিল্প যথাসম্ভব নিপুণভাবে তুলে ধরার জন্য।
তবে এ বছর নতুন এক আশঙ্কার মুখোমুখি ঢাকিরা। বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষীদের উপর ‘হেনস্থা’য় এ বার আতান্তরে পড়েছেন বাংলার ঢাকিরা। সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে রাজ্য জুড়ে ঢাকিদের জন্য পরিচয়পত্র এবং ‘পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’-এর ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন থানা এলাকার প্রায় ৩০০ জনের বেশি ঢাকি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই তাঁদের অনেকে তা পেয়েও গিয়েছেন। জেলা শ্রম দফতর সূত্রে খবর, মালদহেও দু’হাজারের বেশি ঢাকি রয়েছেন। শুধুমাত্র ইংরেজবাজার ব্লকেই অন্তত ৫০০ জনের বাস। তাঁদের অধিকাংশই পুজোর মরসুমে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, বিহার ও অসমে যান ঢাক বাজাতে। বাঁকুড়ার মহিলা ঢাকি দলের চাহিদাও উত্তরোত্তর বাড়ছে ভিন্রাজ্যে। পাত্রসায়র ব্লকের বেশ কয়েকটি ঢাকি দল ইতিমধ্যেই মুম্বই, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লির বড় পুজোগুলো থেকে বায়না পেয়েছে। সব মিলিয়ে জেলার প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ জন ঢাকি পাড়ি দেবেন বাইরের রাজ্যে। পূর্ব বর্ধমানের ঢাকিরাও ভিন্রাজ্যে যান। বাঁকুড়ায় আবেদন জমা পড়া শুরু হলেও, এখনও সার্টিফিকেট দেওয়া শুরু হয়নি। তবে খুব শিগগিরই শুরু হয়ে যাবে।
পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি ‘পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্যমঞ্চ’ নামে একটি সংগঠনও ভিন্রাজ্যে যেতে চাওয়া বাংলাভাষী ঢাকিদের জন্য নাম, ঠিকানা, রক্তের গ্রুপ, মোবাইল নম্বর এবং সংশ্লিষ্ট থানার তথ্য উল্লেখ করে একটি পরিচয়পত্র দিচ্ছে। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশি সন্দেহে বাংলাভাষীদের উপর হেনস্থা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নজরে রেখেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে ওই সংগঠন। আবেদনকারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমস্ত খোঁজখবর করে এই কার্ড তৈরি করা হচ্ছে।













Comments