আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে, কিন্তু তৃতীয় কাউকে এর মধ্যে আনা উচিত নয়, জানাল কেন্দ্র
- The Conveyor
- Aug 1
- 2 min read

১ অগাস্ট, ২০২৫: ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, তেল কিনে আসলে রাশিয়াকে ইউক্রেনে যুদ্ধ করার টাকা জোগাতে সাহায্য করছে ভারত৷ মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই অভিযোগের এবার জবাব দিল ভারত৷ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার বলেন, জ্বালানির চাহিদা মেটানোর জন্য আমরা বিশ্বের বাজারের কী পরিস্থিতি, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করি৷ এ দিন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল দাবি করেছেন, ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও অটুট থেকেছে৷ তিনি বলেন, আমাদের দুই দেশ নির্দিষ্ট কিছু অ্যাজেন্ডা নিয়ে কাজ করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়েও আশাবাদী৷ তবে আমেরিকার দিক থেকে যতই চাপ দেওয়া হোক না কেন, ভারত-রাশিয়ার ঐতিহাসিক সম্পর্কে যে তার কোনও প্রভাব পড়বে না, শুক্রবার তা স্পষ্ট করে দিল বিদেশ মন্ত্রক। রণধীর জয়সওয়াল আরও জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে কোনও দেশের সম্পর্ককে, তৃতীয় কোনও দেশের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা ঠিক নয়।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই মার্কিন সফরে গিয়ে আমেরিকার থেকে আরও বেশি করে তেল এবং গ্যাস কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ যদিও ভারতের যা জ্বালানির চাহিদা, তাতে আমেরিকার একার পক্ষে তার পুরোটা কেন, অধিকাংশ পরিমাণে জোগান দেওয়াও সম্ভব নয়৷ এখনও ভারত সবথেকে বেশি তেল কেনে ইরাক, সৌদি আরব এবং রাশিয়ার থেকে৷ ২০২২ সালের পর ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার থেকে তেল কেনার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকা সহ পশ্চিমের একাধিক দেশ৷ সেই সময় রাশিয়ার থেকে সবথেকে বেশি পরিমাণে তেল কিনত যে দেশগুলি, তার মধ্যে অন্যতম ভারত৷ অন্যান্য দেশের চাহিদা কমে যাওয়ায়, সেই সময় তেলের দামে মোটা টাকা ছাড়ও দিচ্ছিল রাশিয়া৷
এদিকে রাশিয়া থেকে তেল কেনা স্থগিত রেখেছে ভারতের চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। চারটি সূত্র উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে রয়টার্স। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, গত সপ্তাহ থেকে ভারতের চারটি সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম, ভারত পেট্রোলিয়াম এবং ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেড রাশিয়া থেকে তেল কেনা স্থগিত রেখেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার বিকল্প হিসাবে আবু ধাবির মতো পশ্চিম এশিয়ার দেশ থেকে অশোধিত তেল আমদানি করছে সংস্থাগুলি। অবশ্য রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কেনার নিরিখে সবার উপরে রয়েছে বেসরকারি সংস্থা রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ় এবং নায়ারা এনার্জি। এই দুই সংস্থা মস্কোর কাছ থেকে তেল কেনা স্থগিত রেখেছে কি না, তা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। তবে এই প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি আইওসি, বিপিসিএল, এইচপিসিএল এবং এমআরপিএলের মতো ভারতীয় শোধনাগার। আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানায়নি পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকও।
যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে চায়। এই জন্য ভারত যাতে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল না কেনে, তার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই ভারতকে চাপ দিতে পেনাল্টি ঘোষণা ট্রাম্পের। আগামী ২৫ অগস্ট থেকে ভারতে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনায় ষষ্ঠ দফার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।













Comments