SIR নিয়ে সিইও-র দফতর এই মুহূর্তে প্রস্তুত জানিয়ে দেওয়া হল নির্বাচন কমিশনকে
- The Conveyor
- Aug 7
- 1 min read

কলকাতা, ৭ জুলাই, ২০২৫: SIR হলে রাজ্যের সিইও-র দফতর যে এই মুহূর্তে সব দিক থেকেই প্রস্তুত রয়েছে, তা পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হল নির্বাচন কমিশনকে। উল্লেখ্য, রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জানতে বুধবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন চিঠি পাঠিয়েছিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-১ দফতরে। আজ তার জবাব দেওয়া হল।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশে ভোটার তালিকার এসআইআর হয়েছিল প্রায় দু’যুগ আগে। ২০০২-০৩ সালে। ২৩ বছর আগের সেই ভোটার তালিকা প্রকাশের প্রক্রিয়া শেষ করল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতর। রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভারই তালিকা প্রকাশ করা হল বৃহস্পতিবার। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনেই এই তালিকা প্রকাশ করল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।
নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল, এ বার থেকে আর কোনও বুথেই ১২০০ বেশি ভোটার থাকবে না। ওই সূত্র জানাচ্ছে, সেই নীতিনির্দেশিকা মেনে রাজ্যের ৮০৬৮০টি বুথ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজারের কিছু বেশি। ইতিমধ্যেই সেই বর্ধিত বুথের সংখ্যা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের কাছে।
কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সিইও-র নেতৃত্বে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক বা জেলাশাসক (ডিইও), অতিরিক্ত জেলাশাসক, ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার, অতিরিক্ত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার এবং বুথ লেভেল অফিসারেরা (বিএলও) একত্রে ভোটার তালিকায় নাম থাকা প্রত্যেকের বাড়িতে এসআইআর সংক্রান্ত কাজ করবেন। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি প্রকাশিত এসআইআর তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের অতিরিক্ত নথি দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। আবার যাঁদের অভিভাবকের নাম সেই তালিকায় রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও সমস্যা নেই। তবে সেই তালিকায় যাঁদের নাম নেই, নতুন ভোটার বা অন্য রাজ্য থেকে চলে আসা কোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রে পৃথক ফর্ম এবং নথি দাখিল করতে হবে। ওই সূত্র জানাচ্ছে, ২০০২-এর তালিকায় যাঁদের নাম থাকবে না, তাঁদেরই পারিবারিক এবং এ দেশের নাগরিকত্বের সূত্র বুঝতে নথি যাচাই হবে। অনলাইনেও এই প্রক্রিয়া চালানো যাবে। গোটা প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বুথ স্তরের প্রতিনিধিরাও যুক্ত থাকবেন।













Comments