২.৩০ থেকে ৫.৩৫ মিনিট, প্রায় তিন ঘন্টা হেঁটে দক্ষিণ কলকাতায় পদযাত্রা শেষ করলেন মমতা| মোদী ধ্যানমগ্ন
কলকাতা, ৩০ মে, ২০২৪: দুপুর আড়াইটে নাগাদ শুরু করে একেবারে ১২ কিমি হেঁটে সন্ধ্যা ৫টা ৩৫ নাগাদ শেষ করলেন পদযাত্রা। প্রচারের শেষ বেলায় একেবারে ১২ কিমি হেঁটে ফেললেন মমতা। প্রচারের একেবারে শেষ দিনে কলকাতার রাজপথে একেবারে ঝড় তুলে দিলেন মমতা। সুকান্ত সেতুর কাছে শুরু হয়েছিল তাঁর এই পদযাত্রা। আর শেষ হল গোপালনগর এলাকায়।
সঙ্গে ছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র, যাদবপুরের প্রার্থী সায়নী ঘোষ, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, রাসবিহারীর বিধায়ক তথা দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের জেলা সভাপতি দেবাশিস কুমার। যাত্রাপথে সেই মিছিলে যোগ দিলেন দলের অন্য নেতারা। অনেকে আবার মিছিল থেকে বেরিয়ে নিজেদের এলাকায় শেষ বেলার প্রচার সারতেও চলে গেলেন। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র শেষে মিছিল ছেড়ে বেরিয়ে যান সায়নী।পরে অরূপ বিশ্বাস ও বেরিয়ে যান। গড়িয়াহাটে মিছিলে যোগ দেন বালিগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, কসবার বিধায়ক তথা বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান। যোগ দেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আদিবাসী নৃত্যও হল। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে হাঁটলেন মমতা।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সুকান্ত সেতুতে একটি মঞ্চ গড়া ছিল মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার জন্য। কিন্তু তিনি সেই মঞ্চে ওঠেননি। রাস্তায় দাঁড়িয়েই মাইক হাতে বক্তৃতা দেন তিনি। পদ্মপুকুর, যদু বাবুর বাজার, হরিশ মুখার্জি রোড ধরে গোপালনগরে গিয়ে শেষ হয় মিছিল। আজ বৃহস্পতিবারই দেশে লোকসভা নির্বাচনের শেষ প্রচার। আর এই অন্তিম লগ্নের প্রচারে মালা রায় ও সায়নী ঘোষের সমর্থনে রোড শো করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে আজই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কন্যাকুমারীতে ধ্যানমগ্ন হচ্ছেন। আগামী ১ তারিখ পর্যন্ত তিনি ধ্যানে থাকবেন। সেখানে বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যানে বসার কথা রয়েছে তাঁর। সেই ধ্যানের জন্য কন্যাকুমারীর নিরাপত্তাও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে।
Comments