top of page

৩০ মিনিট আগেই এবার থেকে সৌরঝড়ের খবর জানিয়ে দিতে পারবে নাসা


১৬ মে: ৩০ মিনিট আগেই এবার থেকে সৌরঝড়ের খবর জানিয়ে দেবে নাসা। সৌরঝড়ের কারণে পৃথিবীতে প্রবল ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়। বড় সড় সৌরঝড় হলে অনেক ব্যবস্থাই ভেঙে পড়ে রীতিমতো। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এই নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই গবেষণা করে চলেছেন।



আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিশেষ মডেল তৈরি করেই সৌরঝড়ের সঠিক পূর্বাভাস দিতে চলেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা। সৌরঝড়ের পূর্বাভাস দেবে নাসার ‘ডিপ লার্নিং জিওম্যাগনেটিক পারটুরবেশন’ (ড্যাগার)। নাসা, ‘ইউএস জিওলজিকাল সার্ভে’ ও ‘ফ্রন্টিয়ার ডেভেলপম্যান্ট ল্যাব’-এর ‘ডিপার্টমেন্ট অফ এনার্জি’র যৌথ এক প্রকল্প বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দেখছে। তারা এ ‘ডিপ লার্নিং মডেল’ এমনভাবে নকশা করেছেন যাতে বিভিন্ন ‘প্যাটার্ন’ কীভাবে একটিকে পরেরটির দিকে নিয়ে যায়। ৩০ মিনিটের এই সময়টি অবশ্য পাওয়া গিয়েছে আলোর ধর্মের জন্য। যেহেতু আলোর বেগ সৌরঝড়ের সঙ্গে আসা সূর্যের উপাদানগুলির থেকে বেশি, তাই ৩০ মিনিট আগেই ঝড়ের খবর পাওয়া যাবে।



প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৩৫ বছর আগে কিউবেকের উপর প্রভাব ফেলেছিল সৌরঝড়। সেই সময় কয়েক ঘন্টার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুরো নষ্ট হয়ে যায়। সৌরঝড়ের কারণে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে বৈদ্যুতিন ব্যবস্থার উপরে। পাশাপাশি, রেডিয়ো ও যোগাযোগ ব্যবস্থাও রীতিমতো বিকল করে দেয় সৌরঝড়। সৌর বায়ু এমনই এক বিষয়, যাকে ‘সূর্য থেকে আসা সূক্ষ্ম উপাদানের অবিরাম ধারা’ হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে। সাধারণত এ প্রবাহকে শুষে নেয় পৃথিবী ঘিরে থাকা বায়ুমণ্ডলের চৌম্বক স্তর। তবে, যখন সৌর ঝড়ের মতো ঘটনা ঘটে, তখন এটি এতটাই তীব্র হতে পারে, যা পৃথিবীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও ওলটপালট করে দিতে পারে। ৩০ মিনিট আগে সঠিক পূর্বাভাস পেলে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

Top Stories

bottom of page