১ কোটি টাকা পেনাল্টি দিয়ে অবশেষে আটকে থাকা কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেল রাজ্য
- The Conveyor
- Oct 9
- 2 min read

কলকাতা, ৯ অক্টোবর ২০২৫: এতদিনে আটকে থাকা কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেল রাজ্য। ২০২৫– ২৬ অর্থ বর্ষের পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রথম কিস্তি টাকা কেন্দ্র দিল রাজ্যকে। রাজ্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারিনি বলে চলতি অর্থ বর্ষের এই টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছিল। ১ কোটি টাকা পেনাল্টিও এর জন্য দিতে হয়েছে রাজ্যকে। সব তথ্য দিল্লিতে গিয়ে দিয়ে এসেছিলেন রাজ্যের প্রতিনিধিরা। অবশেষে এই এই তহবিলের ৬৮০ কোটি টাকা কেন্দ্র দিলো রাজ্যকে। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত এর একাধিক পরিকাঠামো নির্মাণে এই টাকা ব্যবহার করা হয়। দ্রুত সময় শেষ হয়ে আসছিল। ফলে রাজ্য কেন্দ্রের কাছে বার বার আবেদন জানায়। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ শেষ হয়ে গেলে কেন্দ্রীয় সরকার আর পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা দিতে পারবে না। কিন্তু এই টাকা রাজ্যের কোষাগারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তা না পেলে, রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজগুলি ব্যাহত হতে পারে। অবশেষে টাকা পাওয়া গেল।
রাজ্যের ৩ হাজার ২২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ৩৩৫টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ২১টি জেলা পরিষদের কাছে এই তহবিল পৌঁছবে বলে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। পঞ্চায়েত তথা গ্রামীণ উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। ৬ অক্টোবর অর্থাৎ বুধবার পশ্চিমবঙ্গকে এই তহবিল হস্তান্তর করা হয়েছে বলে কেন্দ্রের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় গত এবং বর্তমান অর্থবর্ষ মিলিয়ে এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পেল মোট ৪ হাজার ১৮১ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৮২ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা রাজ্য পেয়েছে ‘সংযুক্ত অনুদান’ খাতে। বাকি ২ হাজার ৯৯ কোটি ১০ লক্ষ টাকা রাজ্য পেয়েছে ‘আবদ্ধ অনুদান’ বা বাঁধা অনুদান খাতে।

‘সংযুক্ত অনুদান’ খাতের অর্থ কোন কাজে খরচ করা হবে, সে সিদ্ধান্ত পঞ্চায়েতিরাজ প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেরাই নিতে পারে। রাস্তা বা ফুটপাথের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, এলইডি বা সৌরবাতি লাগিয়ে রাস্তা আলোকিতকরণ, গ্রামে খেলার মাঠ তৈরি, পরিবেশ সংরক্ষণ, কর্মসংস্থান সংক্রান্ত কার্যকলাপ, ডিজিটাল পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটানো, শ্মশান রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি কোথায় কোন কাজের জন্য অর্থ প্রয়োজন, তা স্থির করে বিভিন্ন কাজে এই টাকা খরচ করার বিষয়ে পঞ্চায়েতগুলি স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তবে ‘আবদ্ধ অনুদান’ খাতে পাওয়া তহবিল খরচের বিষয়ে এই স্বাধীনতা থাকে না। যে ধরনের পরিকাঠামো নির্মাণের কথা উল্লেখ করে ওই খাতের টাকা পাঠানো হয়, শুধু সেই কাজেই খরচ করা যায়। শৌচাগার নির্মাণ ও পানীয় জল সরবরাহ সংক্রান্ত কাজে খরচ করতে হবে এমনই কেন্দ্র নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল দু’টি অর্থবর্ষ মিলিয়ে এ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গকে ‘আবদ্ধ অনুদান’ খাতে ২ হাজার ৯৯ কোটি ১০ লক্ষ টাকার মাধ্যমে।
চলতি অর্থবর্ষে ‘সংযুক্ত (মৌলিক) অনুদান’ খাতে প্রাপ্য অর্থের প্রথম কিস্তি হিসাবে এই তহবিল পেল রাজ্য। গত অর্থবর্ষে দু’টি কিস্তিতে ‘সংযুক্ত অনুদান’ খাতের টাকা পাঠানোর কয়েক দিনের মধ্যেই ‘আবদ্ধ অনুদান’ খাতের টাকাও ছাড়া হয়েছিল। তাই এ বারও আর কয়েক দিনের মধ্যেই ‘আবদ্ধ অনুদান’ বাবদ চলতি অর্থবর্ষের প্রথম কিস্তির টাকা পশ্চিমবঙ্গ পেয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।













Comments