সেপ্টেম্বরের পয়লা দিনে এসসিও সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চাঁদের হাট বসেছিল চিনের তিয়ানজিনে
- The Conveyor
- Sep 1
- 2 min read

১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫: পুতিনের গাড়িতে গিয়ে চাপলেন মোদী। কোনও আগাম পরিকল্পনা ছাড়াই এটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। আজ, ১ সেপ্টেম্বর আরও এক রাষ্ট্রনেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক গাড়িতে ৪৫ মিনিট সফর করলেন পুতিন৷ যা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পকে একটি উল্লেখযোগ্য বার্তা তো বটেই৷ জানা গিয়েছে, সাংহাই কো-অপারেশন মিটিং (SCO)-এর পরে মোদির জন্য প্রায় ১০ মিনিট অপেক্ষা করছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন৷ যাতে তাঁরা এক সাথে ভারত-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক আলোচনাস্থলে যেতে পারেন৷ দু’জনেই পুতিনের ‘অরাস লিমোসিন’ গাড়ি করে ভারত-রাশিয়ার আলোচনাস্থলে যান৷ মনে করা হচ্ছে, এই সফরকালে মূল আলোচনা পর্বের আগেই একাধিক বিষয়ে কথা হয়েছে মোদি এবং পুতিনের৷ কারন আলোচনাস্থলে পৌঁছনোর পরেও প্রায় ৪৫ মিনিট তাঁরা গাড়ির ভিতরেই বসেছিলেন৷ পাশাপাশি আরও একটা দৃশ্য চোখে পড়েছে এসসিও সামিটে৷ সেখানে দেখা গিয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সামনে দিয়েই কথা বলতে বলতে হেঁটে গিয়েছেন মোদি এবং পুতিন, তাঁকে বিন্দুমাত্র পাত্তা না দিয়ে৷
এসসিও সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চাঁদের হাট বসেছিল চিনের তিয়ানজিনে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন সম্মেলনে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর শুল্ক আরোপ করার পর এই প্রথম এক মঞ্চে এত জন রাষ্ট্রপ্রধানকে দেখা গেল। ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের আবহে মোদীর চিন সফর ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের দিকে নজর ছিল সকলের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের আবহে সংঘাতের পুরনো ইতিহাস ভুলে কাছাকাছি এসেছে ভারত-চিন। চিনে ভারত এবং চিনের সঙ্গী হয়েছে নয়াদিল্লির পুরনো বন্ধু রাশিয়াও। অনেকের মতে ট্রাম্পকে প্রতিরোধ করতে এক অদৃশ্য ‘ত্রিদেশীয় অক্ষ’ গড়ে ওঠার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। সেই মঞ্চে আমেরিকাকে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ভারতের নিশানা ছিল পাকিস্তানও। শুধু তা-ই নয়, কাশ্মীর সমস্যা থেকে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার আবহে ভারত-বিরোধী অবস্থান নেওয়া তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোগানের সঙ্গে মোদীর ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ’ ব্যবহারও নজর কেড়েছে।
চিনে এসসিও সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়েও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হন মোদী। আল কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনের নামও করেন। সাফ জানিয়ে দেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে কোনও দ্বিচারিতা থাকতে পারে না।
উল্লেখ্য,চিনের তিয়ানজিন শহরে এসসিও সম্মেলনের আগে আড্ডায় মজলেন তিন রাষ্ট্রপ্রধান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে একান্তে আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে। তিন জনই ছিলেন হালকা মেজাজে। মোদী সেই ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিকভাবে সুসম্পর্ক থাকলেও ভারত-চিন সম্পর্কে নয়া সমীকরণ তৈরি করে দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে আমেরিকাই। মার্কিন প্রশাসনই জবরদস্তি শুল্ক চাপিয়ে ভারতকে দূরে ঠেলেছে। এই আবহে ভারত এবং চিন একজোট হয়ে মার্কিন শুল্ক আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত হচ্ছে। আর তাতে যে হতভম্ব আমেরিকা তথা ট্রাম্প প্রশাসন, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।













Comments