top of page

যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা দিয়ে হাই কোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছিল SSC, দাবি চেয়ারম্যানের




কলকাতা, ২৫ এপ্রিল: যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা দিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছিল এসএসসি। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করলেন এসএসসির চেয়ারম্যান। উল্লেখ্য, SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই SLP দায়ের করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এদিন সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, তারা হলফনামা দিয়ে প্রায় ৫ হাজার ৩০০ জন ‘অযোগ্য’-দের তথ্য আদালতে জমা দিয়েছিলেন।

সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘১৩ ডিসেম্বর হলফনামা জমা দিয়েছিলাম। হলফনামায় আদালত সন্তুষ্ট হয়নি। ১৮ ডিসেম্বর ফের হলফনামা জমা দেওয়া হয়। ২০ ডিসেম্বর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিল।” এর আগেও এসএসসির তরফে দাবি করা হয়েছিল, তারা যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা আদালতে জমা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘ধরে নেওয়া যেতে পারে বাকি ১৯০০০ যোগ্য। কোনও ভুল বাকিদের ক্ষেত্রে নেই এটা কেউ সার্টিফিকেট দিতে পারবে না তবে আমরা বিভিন্ন তথ্য- নথির ভিত্তিতে যে তথ্য পেয়েছি এখনও পর্যন্ত সেটা আদালতকে দেওয়া হয়েছে৷’’ তিনি জানান, আদালতকে সম্মান করেছি। কিন্তু অনেকে যে বলছে এসএসসি কোনও তথ্য দেয়নি, সেটা ঠিক তথ্য নয়৷ ’’

এরপরেই তাঁকে নতুন করে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি ফ্রেশ নিয়োগ প্রক্রিয়াটাই বুঝেছি, যেখানে অন্যরাও আবেদন করতে পারবে। মহামান্য আদালতের নির্দেশে 'ফ্রেশ সিলেকশন' কথাটা উল্লেখ রয়েছে। ফলে যাঁরা এখনও আবেদন করেননি তাঁদেরও সুযোগ দেওয়া হোক, এমনটাই বোঝায়। আমরা তাই বুঝেছি। আমাদের আইনজীবীরাও তা বুঝেছেন। এর ব্যাখ্যাটা আরও স্পষ্ট হবে অ্যাপেক্স কোর্টের কাছে।’

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে নিজেদের যোগ্য দাবি করে পথে নেমেছেন একাধিক শিক্ষক। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে তাঁদের কণ্ঠে। হাই কোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশের বিরুদ্ধে বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) দাখিল করেছে এসএসসি। উচ্চ আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে রাজ্য সরকারও। শীর্ষ আদালতে পৃথক ভাবে মামলা করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।


Top Stories

bottom of page