top of page

মণিপুরে মৃতদের ৫ লাখ, গুরুতর আহতদের ২ লাখ ও অল্প আহতদের ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস সরকারের


৯ মে: স্বাভাবিক হচ্ছে মণিপুর ধীরে ধীরে। মঙ্গলবার কারফিউ আরও শিথিল করা হল। চুড়াচাঁদপুর, বিষ্ণুপুর, কাংপোকপি সহ অন্যান্য জেলায় এদিন কারফিউ শিথিল করার সময় এক ঘণ্টা করে বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং। পরিস্থিতি যাতে দ্রুত স্বাভাবিক করা যায় তার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬০ জন মারা গিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই হিংসার ঘটনায় ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন এবং প্রায় ১৭০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হিংসার ঘটনায় যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে, যাঁরা গুরুতর আহত হয়েছে তাঁদেরকে ২ লাখ টাকা করে এবং অল্প আহতদের ২৫ হাজার টাকা করে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মণিপুর সরকার- জানিয়েছেন বিরেন সিং। হিংসা এবং সংঘর্ষের সময়ে ১০৪১টি অস্ত্র লুট করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “যে সমস্ত বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁদেরকেও ২ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। ওই বাড়িগুলি নতুন করে তৈরি করে দেবে মণিপুর সরকার।”

তবে এই ঘটনার পিছনে কোন সাম্প্রদায়িক ব্যাপার আছে কী না তা নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাননি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। হিংসার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ২০,০০০ শরণার্থী যাঁদের রিলিফ ক্যাম্পে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাঁরা মণিপুরে ফিরে এসেছেন। বাকি আরও ১০,০০০ শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটি ক্যাবিনেট পর্যায়ের প্যানেল তৈরি করা হয়েছে, শরণার্থীদের ফিরে আসতে যোগাযোগ মাধ্যমের যেন কোনও অসুবিধে না হয়, তা খতিয়ে দেখার জন্য।

Top Stories

bottom of page