প্রকাশিত হল রাজ্যের খসড়া এসআইআর তালিকা
- The Conveyor
- 14 minutes ago
- 2 min read

কলকাতা, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫: প্রতীক্ষার অবসান। প্রকাশিত হল খসড়া এসআইআর তালিকা। electoralsearch.eci.gov.in-এ ক্লিক করলেই দেখা যাবে ভোটারের নাম। CEO দফতরের ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যেই বাদ যাওয়া নামের তালিকা প্রকাশ পেয়েছে। ওয়েবসাইটে লগ ইন করলেই দেখা যাচ্ছে বাতিল ভোটারদের নাম। ওয়েবসাইটে ক্লিক করে ডাউনলোড করা যাচ্ছে বাদ যাওয়া নামের তালিকা।
পশ্চিমবঙ্গের যে খসড়া তালিকা মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে, তা থেকে বাদ পড়েছে ৫৮ লক্ষ ২০ হাজার ৮৯৮ জনের নাম। এসআইআর শুরুর আগে সর্বশেষ ভোটার তালিকায় নাম ছিল ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫২৯। সেখান থেকে খসড়া তালিকায় ভোটার সংখ্যা কমে হয়েছে ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫২৯। তবে কমিশন সূত্রে খবর, প্রকৃত অর্থে ‘ঝাড়াইবাছাই’ বলতে যা বোঝায়, তা এই পর্বে হয়নি। যাঁদের সরাসরি নাম বাদ যাওয়ার কথা, শুধুমাত্র সেই ভোটারদেরই নাম বাদ গিয়েছে।
এনুমারেশন পর্বে যাঁরা নিয়ম মেনে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের সকলেরই নাম রয়েছে খসড়া তালিকায়। এই খসড়া তালিকা থেকেই এ বার হিয়ারিংয়ের জন্য ডাক পড়বে।
১. প্রায় ৩০ লক্ষ ভোটার, যাঁদের ম্যাপিং সম্ভব হয়নি, তাঁদের ডাকা হবে হিয়ারিংয়ে। ২০০২ সালের এসআইআর- এর লিঙ্ক হয়নি, অথচ ২০২৬-এর খসড়ায় নাম আছে, তাঁদের ডেকে পাঠানো হতে পারে।
২. কমিশনের লজিক্যাল ডিস্ক্রিপেন্সি তালিকায় নাম আছে যাঁদের, ডাক পাবেন তাঁরা। এ রকম ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৬৭ লক্ষ। প্রোজেনি ম্যাপিং ও সেল্ফ ম্যাপিংয়ে নাম থাকলেও ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা কম, তেমনটা নয়। তবে এনুমারেশন ফর্মে যদি বাবা-ছেলের বয়সের তফাত সন্দেহজনক হয়, প্রোজেনি ম্যাপিংয়ে যদি গরমিল থাকে, ডাক পড়বেই।
৩. জেন্ডার মিসম্যাচ হলেও ডাক পড়বে হিয়ারিংয়ে।
এছাড়া যে প্রায় ৫৮ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছে খসড়া তালিকায়, তাঁদের কেউ যদি ভোটার হিসেবে আবেদন করতে চান, অর্থাৎ এনিউমারেশন পর্বে কোনও কারণে অনুপস্থিত থেকেছেন বা স্থানান্তরিত সংক্রান্ত তথ্য ভুল বলে মনে করছেন, জীবিত থাকার পরেও মৃত তালিকায় নাম উঠেছে— এ রকম ভোটাররা ৬ নম্বর ফর্মের সঙ্গে ডিক্লেয়ারেশন ফর্ম ও সাপোর্টিং ডকুমেন্ট দিয়ে নতুন করে আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি থাকছে কমিশনের। নতুন করে নাম তোলার জন্যও এসআইআর প্রক্রিয়ার মধ্যে আসতে হবে ভোটারদের। ফর্ম ৬-এর সঙ্গে এনুমারেশন ফর্মের মতো দেখতে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে তাঁদেরও। অন্য রাজ্য থেকে আসা ভোটারেরা এ রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম তুলতে চাইলে পূরণ করতে হবে ফর্ম ৮। সে ক্ষেত্রেও এনুমারেশন ফর্মের মতো দেখতে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে।
খসড়া তালিকায় থাকা ভোটারদের মোট তিনটি তালিকায় ভাগ করেছে কমিশন— নিজস্ব ম্যাপিং, প্রজিনি ম্যাপিং এবং নন-ম্যাপিং। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁরা নিজস্ব ম্যাপিংয়ের তালিকায় পড়ছেন। এমন ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৬৯ হাজার ১৮৮ জন ভোটারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় না-থাকলেও বাবা-মা বা আত্মীয়ের নাম আছে, তাঁরা প্রজিনি ম্যাপিং তালিকায় রয়েছেন। রাজ্যে তেমন ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৩৯ জন। এ ছাড়া, ৩০ লক্ষ ভোটার রয়েছেন, যাঁদের নিজেদের নাম বা আত্মীয়ের নামও ২০০২ সালের তালিকায় নেই। তাঁরা নন-ম্যাপিং তালিকাভুক্ত। এই তৃতীয় তালিকার সকলকেই কমিশনের তরফে শুনানিতে ডাকা হবে।
আজ মঙ্গলবারই SIR-এর খসড়া তালিকা হাতে পাবেন বুথ লেভেল অফিসাররা। জেলা শাসকের দফতর থেকে BLO-দের কাছে খসড়া তালিকা দেওয়া হবে। খসড়া তালিকার কপি পাবে সব রাজনৈতিক দলও। এছাড়া DEO, DM ওয়েবসাইট, BLO-র কাছে পাওয়া যাবে খসড়া তালিকা। BLO-র কাছে অফলাইনেও পাওয়া যাবে নাম বাদের খসড়া তালিকা।













Comments