top of page

পেট্রোপোল সীমান্তে মহম্মদ ইউনুসকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী




কলকাতা, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪: বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, কলকাতায় এক দিনে যে আবর্জনা বের হয়, সেটা বাংলাদেশে ফেলে দিলেই তাতে ঢাকা পড়ে যাবে ইউনুস। তিনি যেন পাঙ্গা নিতে না আসেন।

বাংলাদেশে সংখ্য়ালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধের দাবিতে এপার বাংলার সীমান্তে শুরু হয়েছে তুমুল বিক্ষোভ। সনাতনী ঐক্য পরিষদের ডাকে সোমবার প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মূলত দলীয় পতাকা ছাড়াই বিজেপি এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হচ্ছে বলে খবর। অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির প্রতিনিধিরা, সাধু সন্তরাও জড়ো হয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কেবলমাত্র পেট্রোপোল সীমান্তে নয়, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে সীমান্ত এলাকায় এই বিক্ষোভ চলবে।

হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে দেশদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতারের পর থেকেই উত্তপ্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা। সোমবার বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিংবা বিদেশমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ নিয়ে বিবৃতি দিন। মমতা বলেন, কেন্দ্র সরকার এই ইস্যুতে যা অবস্থান নেবে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার পাশে থাকবে। কারণ এটি আন্তর্জাতিক বিষয়। পাশাপাশি এ দিন মমতা প্রস্তাব দেন, কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রপুঞ্জের দৃষ্টি আকর্ষন করুক। পিস কিপিং ফোর্স পাঠাক।

পেট্রাপোল সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় চলছে স্লোগান। কেন হিন্দুদের উপর অত্যাচার চলছে বাংলাদেশে তা নিয়ে বিক্ষোভস্থলে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। সোমবার সকাল ৬টা থেকে ২৪ ঘন্টা পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করা হয়েছে। শুভেন্দু এদিন বলেন, 'অত্যাচার বন্ধ না হলে এর পরের সপ্তাহে আমরা পাঁচ দিন বন্ধ করব। তারপর ২০২৫ সালে আমরা লাগাতার বন্ধ করে দেখব ওরা আলু-পেঁয়াজ কিভাবে খায়। আমাদের দেশের নাম ভারতবর্ষ।’ যদিও বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এ ভাবে রাজ্য সরকার কোনও আমদানি রপ্তানি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা কেন্দ্র সরকারকেই নিতে হবে।

বাংলাদেশে ৮দিন ধরে জেলবন্দি সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। পেট্রোপোলের পাশাপাশি কোচবিহারের চ্য়াংরাবান্ধা সীমান্তও কার্যত থমথমে। অনেকেবাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য়ছাড়াও বিভিন্ন কারনে এসেছিলেন ভারতে, তাঁরা ফিরতে চাইছেন। সব মিলিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। ভারত ও বাংলাদেশের পরিস্থিতির অবনতির জেরে দুই দেশের বাণিজ্যে অত্যন্ত খারাপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বাংলার বিভিন্ন সীমান্তেই এই পরিস্থিতি। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তেও তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

 
 
 

Comments

Rated 0 out of 5 stars.
No ratings yet

Add a rating

Top Stories

প্রতিদিনের খবর এবং বিভিন্ন ফিচার ভিত্তিক লেখা, যেখানে খবরের সত্যতা তথা লেখনীর উৎকৃষ্টতা প্রাধান্য পায়। ফিচার ছাড়াও যে কোনও রকম লেখনী শুধুমাত্র উৎকৃষ্টতার নিরিখে গুরুত্ব পাবে এই সাইটে

Thanks for subscribing!

  • Whatsapp
  • Youtube
  • Instagram
  • Facebook
  • Twitter

The Conveyor

bottom of page