নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন সুশীলা কার্কি
- The Conveyor
- Sep 12
- 1 min read

১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫: সব জল্পনার অবসান। শুক্রবার রাতে নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন সুশীলা কার্কি। নেপালের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হিসেবে ইতিহাস গড়েছিলেন তিনি। এ দিন আরও এক ইতিহাসের সাক্ষী হলো নেপাল। ভারতীয় সময় রাত সোয়া নটায় তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌড়েল। কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রপতি ভবন শীতল আবাস থেকে এক বিবৃতিতে সে কথা জানানো হয়েছে।
বুধবারই পরবর্তী রাষ্ট্রনেতা হিসেবে সুশীলাকে বেছে নিয়েছিলেন আন্দোলনকারী ছাত্র-যুবরা। নেপালের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, সে দিন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রথমে কার্কির কাছে সম্মতি চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল আন্দোলনকারীদের তরফে। তিনি প্রস্তাব বিবেচনার জন্য অন্তত ১,০০০ লিখিত স্বাক্ষর চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রথমেই ২,৫০০-এরও বেশি স্বাক্ষর জমা পড়ে তাঁর পক্ষে।
সূত্রের খবর, প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই বর্তমান সংসদ ভেঙে দিতে চলেছেন তিনি। এটা জেন জি আন্দোলনের অন্যতম প্রধান দাবি ছিল। জেন জি নেতারা দাবি করেছিলেন, সংসদ ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। তবে সংসদ ভেঙে দেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে নেপালের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার এবং জাতীয় পরিষদের চেয়ারপার্সন বলেছেন, ‘আইনের শাসন এবং সংবিধান থেকে বিচ্যুত হওয়া উচিত নয়।’ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এর সাংবিধানিক সমাধান চেয়েছে। নাগরিক সমাজের মতে, সংসদ ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলা উচিত।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে সুশীলাকে প্রধান বিচারপতি হিসাবে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী নিয়োগ করেছিলেন। বিদ্যাদেবী ছিলেন নেপালের ইতিহাসে প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ওলির নেতৃত্বাধীন সংবিধান পরিষদের সুপারিশে তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে সংবিধান খসড়া কমিটির অংশ ছিলেন সুশীলা। ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। পেশাগত জীবন একজন শিক্ষিকা হিসাবে শুরু করেছিলেন সুশীলা। পরবর্তী কালে তিনি বিচারব্যবস্থায় যোগ দিয়েছিলেন।













Comments