দুর্গাপুর ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে পুলিশে ধরিয়ে দেন তারই বোন
- The Conveyor
- Oct 14
- 2 min read

কলকাতা, ১৪ অক্টোবর ২০২৫: দুর্গাপুরে ডাক্তারির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় বাংলা। ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অন্যতম মূল অভিযুক্তকে পুলিশ সহজে হয়তো ধরতে পারত না, যদি না তার পরিবারের সদস্যই সাহস আর সততা দেখিয়ে পুলিশের হাতে অভিযুক্তকে তুলে দিতেন। ওই অভিযুক্ত যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দিতে সাহায্য করেছেন তারই বোন রোজিনা।
অভিযুক্ত শফিক শেখের বোন রোজিনা শেখকে সোমবার দুর্গাপুরের অণ্ডাল ব্রিজের নীচে তাকে ধরিয়ে দিতে সহায়তা করেছিলেন। এই বিষয়ে রোজিনা বলেন, 'আমি চেয়েছিলাম ভাই আইনের মুখোমুখি হোক। তার জন্য আমাদের পরিবারের লজ্জার ভাগিদার হওয়া উচিত নয়।' তিনি বলেন, 'আমরা গরিব হলেও আত্মসম্মান আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যদি সে অপরাধী হয়, শাস্তি হওয়া উচিত। আর নির্যাতিতার বিচার পাওয়া উচিত।' শফিক যে পুলিশের ভ্যানে উঠে ভয়ে কাঁপছিল, সে কথাও জানান রোজিনা। রোজিনার এই মানসিকতা শুধু পুলিশকে সাহায্য করেনি বরং নির্যাতিতার পরিবার এবং তদন্তকারীদের জন্যও বড় ধরনের শান্তি দিয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার অভিযুক্তদের নিয়ে অপরাধের ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অপরাধ পুনর্গঠনের জন্য সেখানে যাওয়া হয়। এদিকে দুর্গাপুরে গণধর্ষণের শিকার ডাক্তারি পড়ুয়ার মেডিক্যাল রিপোর্ট সামনে এসেছে। ধর্ষণের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টেই। এই আবহে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল এলে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের জড়িত থাকার পাকা পোক্ত প্রমাণ পাওয়া যাবে। ওই দিন ওই সময় অভিযুক্তরা যে পোশাক পরেছিলেন, সেগুলি মঙ্গলবার বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হতে পারে পোশাকগুলিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত পাঁচ জনের মধ্যে এক জন জেরায় ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তবে পুলিশ এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে।
ওড়িশার বাসিন্দা ডাক্তারির ওই ছাত্রী দুর্গাপুরের এক মেডিক্যাল কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পাঠরত। অভিযোগ, গত শুক্রবার রাতে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে নির্যাতনের শিকার হন তিনি। সোমবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘নির্যাতিতা’ তরুণীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। পরে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়, দুর্গাপুরকাণ্ডে দ্রুত সুবিচারের জন্য সর্বস্তর থেকে চাপ তৈরি করা হবে বলে তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন মোহনচরণ।













Comments