top of page

ল্যান্ডার 'বিক্রম' থেকে রোভার 'প্রজ্ঞান' বেরিয়ে এসে নিজেদের কাজ শুরু করে দিল চাঁদের মাটিতে


২৪ অগাস্ট: চাঁদের মাটি ছুঁয়ে বিশ্ব ইতিহাসে প্রথম দক্ষিণ মেরু জয় করার কৃতিত্ব অর্জন করেছে ভারত। ইসরোর ঘোষণা করা সময়মতো ঠিক বিকেল ৬টা বেজে ৪ মিনিটে চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম। বিক্রমের পেট থেকে যথা সময়ে বেরিয়ে এসেছে প্রজ্ঞান। সে এবারে মুনওয়াক করছে। যতদিন চাঁদে দিনের আলো থাকবে অর্থাৎ ১৪ দিন ধরে নিজেদের কাজ করে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করবে ইসরোকে।

চাঁদের জমিতে, চাঁদের মাটিতে অনুসন্ধান চালাবে রোভার প্রজ্ঞান। রোভারের সঙ্গে রয়েছে একাধিক দিকনির্দেশক স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা। প্রজ্ঞান চাঁদ থেকে যা যা তথ্যসংগ্রহ করবে, তার সব কিছুই পাঠিয়ে দেবে ল্যান্ডার বিক্রম। বিক্রম সেই বার্তা পাঠাবে পৃথিবীতে। সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে ফেলেছে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার ও রোভার। চাঁদের মাটিতে অনুসন্ধান চালাবে সে। চাঁদের মাটিতে প্রজ্ঞানই এঁকে দেবে ভারতের জাতীয় পতাকা এবং ইসরোর লোগো।

মহাকাশযানে বেশ কিছু যন্ত্র আছে, যাকে পেলোড বলা হয়। তা মহাকাশে কী ঘটছে তা পর্যবেক্ষণ এবং রেকর্ড করবে। ল্যান্ডার বিক্রমেরে দুটি এবং রোভার প্রজ্ঞানের চারটি, মোট ছয়টি পেলোড রয়েছে এবারেও আগের চন্দ্র অভিযানের মতোই। চন্দ্রের ভূমিকম্প, চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপীয় বৈশিষ্ট্য, পৃষ্ঠভূমির প্লাজমাতে পরিবর্তন, পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যে দূরত্ব সঠিকভাবে পরিমাপ করতে সাহায্য করার জন্য ল্যান্ডারে চারটি বৈজ্ঞানিক পেলোড আছে। চন্দ্রপৃষ্ঠের রাসায়নিক এবং খনিজ গঠন অধ্যয়নে সাহায্য করবে রোভারের দুটি পেলোড।

চাঁদের মাটি এবং শিলায় যে ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম এবং লোহার মত উপাদান আছে, সেগুলোর গঠন এবং নকশা নির্ধারণ করা হবে। চাঁদে জীবন সহায়ক বায়ুমণ্ডল আছে কি না, তা খুঁজে দেখবে। তারার আলোয় চাঁদে যে পরিবর্তন হয়, তা পরীক্ষা করবে। চাঁদে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা চালাবে। যাতে চাঁদের ভূবৈচিত্র্য ও গঠনতন্ত্র স্পষ্ট হবে। ভবিষ্যতের চন্দ্রাভিযানে নিরাপত্তা বাড়বে। চাঁদে তাপমাত্রার তারতম্যের প্রতিক্রিয়া বা থার্মো-ফিজিক্যাল প্রতিক্রিয়াও খতিয়ে দেখবে। চাঁদের কক্ষপথের আচরণ এবং পৃথিবীতে তার প্রভাব জানাবে। যা থেকে জোয়ার-ভাটা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী আরও নিখুঁতভাবে করা সম্ভব হবে। লেজার রেট্রোরেফ্লেক্টর অ্যারে চাঁদ এবং পৃথিবীর মধ্যে রিয়েল-টাইম দূরত্ব পরিমাপ করবে। এই অভিযান চাঁদের বিবর্তনের ইতিহাস বিজ্ঞানীদের কাছে আরও স্পষ্ট করবে তাই শুধু নয়, পৃথিবীর বিবর্তনের ইতিহাসও স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারবেন ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীরা।

এদিকে ইসরো প্রধান সোমনাথ জানিয়ে দিলেন তাঁরা তাঁদের পরবর্তী সোলার মিশন 'আদিত্য' লঞ্চ করতে চলেছেন আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই।

Top Stories

bottom of page