top of page

মনিপুরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, শান্তি ফেরাতে শুরু ফ্ল্যাগ মার্চ


৪ মে: আদিবাসীদের বিক্ষোভ হিংসাত্মক আকার নিল মণিপুরে। রাজধানী ইম্ফলে একাধিক বাড়ি, দোকান, গাড়িতে আগুন লাগিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা৷ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা এবং অসম রাইফেলস। বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা৷ জারি করা হয়েছে কার্ফু।

পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ যে নিজের রাজ্যের হয়ে সাহায্য চেয়ে ট্যুইট করেছেন অলিম্পিক মেডেল জয়ী বক্সার মেরি কম৷ এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীঅমিত শাহের সরাসরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি৷ তবে হিংসা কবলিত অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ করছেন সামরিক আধিকারিক এবং জওয়ানরা। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে মিলে হিংসা কবলিত এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে সেনাকর্মীরা। সেনাশিবিরে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৪ হাজার গ্রামবাসী৷ পরিস্থিতি শান্ত রাখতে শুরু হয়েছে ফ্ল্যাগমার্চ৷

উল্লেখ্য, এর আগে গত মাসে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত জনতা। সম্প্রতি মৈতেই গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষ বেধেছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের। জানা গেছে মৈতেই জনগোষ্ঠী সম্প্রতি দাবি তুলেছে যে তাদের তফসিলি উপজাতির তকমা দিতে হবে। তাদের এই দাবির বিরোধ জানিয়েছে স্থানীয় আদিবাসীরা। All Tribal Student Union Manipur (ATSUM) মণিপুরের চূড়াচন্দ্রপুর জেলার টোরবাঙ এলাকায় উপজাতিদের সমর্থনে একটি মিছিল বের করে৷ সেই মিছিল ঘিরেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।

বুধবারের হিংসায় চূড়াচাঁদপুর জেলায় আগুন জ্বলছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ায় ইম্ফল পশ্চিম জেলার কাঞ্চিপুর এবং ইম্ফল পূর্বে সোইবাম লেইকাইতে মৈতেই জনজাতির মানুষজন আদিবাসীদের ওপর হামলা করার জন্য পথে নামে। যাতে নতুন করে অঞ্চলে অশান্তি না ছড়ায় এর জন্য সেনা এবং অসম রাইফেলকে মোতায়েন করা হয়েছে। মণিপুরের ৮ জেলা জুড়ে জারি হয়েছে কার্ফু৷ ৫ দিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও৷


Top Stories

bottom of page