top of page

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সিদ্দারামাইয়া, শিবকুমার উপমুখ্যমন্ত্রী


১৮ মে: মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সিদ্দারামাইয়াকেই বেছে নিল কংগ্রেস৷ গতকাল গভীর রাতেই কর্ণাটক এবং দিল্লির রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে আজ দুপুর ১২টা নাগাদ কংগ্রেসের তরফে ঘোষণা করা হল কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম। আগামী শনিবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন। উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকছেন ডি কে শিবকুমার৷

কর্ণাটক কংগ্রেসের প্রধান শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, নিজের দলের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। রাহুল গান্ধী বা মল্লিকার্জুন খাড়গে কারোও অনুরোধই রাখেননি শিবকুমার, নিজের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য অটল ছিলেন। কিন্তু গতকাল রাতের দিকে সনিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পরেই কাটল ডেডলক৷ বিধায়কদের সমর্থনের হিসাবে সিদ্দারামাইয়ার দিকেই দল ভারী ছিল৷ কিন্তু, শীর্ষপদের অন্যতম দাবিদার ডি কে শিবকুমারও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র ছিলেন না৷ আসলে কর্নাটকে এই জয়ের পেছনে তাঁর যথেষ্ট অবদান রয়েছে তা বলাই বাহুল্য।

কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়। ভারতের এই যে বর্তমান চেয়ার সর্বস্ব রাজনীতি, তা কী আদৌ সঠিক পথ দেখাবে আগামী প্রজন্মকে? আগেও এমনটা ছিল অস্বীকার করার উপায় নেই, কিন্তু এমন দৃষ্টিকটুভাবে তা জনগনের সামনে আসত না। হয়ত বর্তমান মিডিয়ার দৌলতেই এমন হচ্ছে এই সময়ে। কিন্তু সেই বিষয়ে তো রাজনীতিকদের অবহিত থাকতে হবে। চেয়ার সর্বস্ব রাজনীতি আদপে দেশের গণতন্ত্রকেই দলিত করছে। দলের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণার্থেই তো রাজনীতি। সেই বোধ যতদিন না রাজনীতিবিদদের মধ্যে আসছে, ততদিন এই খেয়োখেয়ির রাজনীতির ফায়দা লুটবে কিছু সার্থান্বেষী মানুষ, যার ফল ভুগতে হবে সাধারণ মানুষদের। যে দলকে জিতিয়ে আনল একটি রাজ্য, সেই দলের এমন আহাম্মকের মতো কাজ বা আচরণ মেনে নেবে সাধারণ মানুষ?


Top Stories

bottom of page