সন্দেশখালি নিয়ে রিপোর্ট জমা রাষ্ট্রপতির কাছে, রামপুরে কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল বচসা, শীর্ষ আদালতে সিট গঠনের দাবি
কলকাতা, ১৬ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়ল রাষ্ট্রপতির কাছে। তফসিলি কমিশনের সদস্যরা বৃহস্পতিবার এলাকায় গিয়ে স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। সেই মতো একটি রিপোর্ট তৈরী করে তাঁরা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছেন। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে তফসিলি কমিশনের প্রতিনিধিরা তাঁর হাতে তুলে দেন সেই রিপোর্ট।
শুক্রবার সকালে বিজেপির ৬ সদস্যের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম সন্দেশাখালির দিকে রওনা দেয়। ধামাখালির রামপুরে তাদের আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ বলে, সন্দেশখালিতে এখন ১৪৪ ধারা চলছে, তাই এতজনকে একসঙ্গে সেখানে যেতে দেওয়া যাবে না। শেষে ফিরে যান বিজেপি নেত্রীরা। তাঁরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা হলে রামপুরে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছেন অধীর। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কেন আটকানো হল? আমরা তো মারামারি করতে আসিনি। রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছেন কেন?’’ পুলিশ তার কোনও উত্তর দেয়নি। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা শুরু করেন কংগ্রেস কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে রামপুর। পুলিশে পুলিশে চেয়ে গেছে রামপুর। কংগ্রেস কর্মীদের রামপুর পেরিয়ে সন্দেশখালিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। দফায় দফায় চলছে বচসা। রামপুর থেকে অধীরের হুঁশিয়ারি, আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন তাঁরা।
এদিকে সন্দেশখালি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এবার এই ঘটনায় পৃথক সিট গঠন করে বা সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করা হোক, আবেদন করা হল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। মণিপুরের ঘটনা প্রসঙ্গ টেনে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে সন্দেশখালি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Comments