শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় অবশেষে ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ
শিলিগুড়ি, ২২ মে, ২০২৪: শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় অবশেষে ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম শম্ভু দাস, দেবাশিস সরকার, শ্যামল বৈদ্য, শম্ভু মাহাতো, এদের বাড়ি ভক্তিনগর থানা এলাকায়। অপর ধৃতের নাম রাজীব বসাক, তার বাড়ি মাটিগাড়া থানা এলাকায়। তবে মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় এখনও অধরা বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনে ‘দুষ্কৃতী হামলা’র অভিযোগ ওঠে। মিশনের সন্ন্যাসীদের নিগ্রহেরও অভিযোগ ওঠে এই হামলায়। সেই প্রেক্ষিতে রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুধু তা-ই নয়, পাঁচ সন্ন্যাসী ও বাড়িটির নিরাপত্তারক্ষীদের তুলে নিয়ে গিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
অভিযোগ ওঠে, রামকৃষ্ণ মিশনের মালিকানাধীন 'সেবক হাউজ' বাড়ির বাইরে পুলিশ তালা লাগিয়ে জমিটা সিল করে দিয়েছিল। সেই সিলে আবার 'ডিকে' ছাপ ছিল। যা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছিল।
গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ জনকে। তদন্ত চলছে। মামলার প্রধান অভিযুক্ত প্রদীপ রায়ও পালটা অভিযোগ করেছে। প্রদীপের দাবি, ওই জমি উত্তরাধিকার সূত্রে তারই। যদিও এদিন ডিসিপি সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, ওই জমি এখনও রামকৃষ্ণ মিশনের নামেই রয়েছে।
ওই মিশনের মহারাজ স্বামী শিবপ্রেমানন্দ জানান, সেবক রোডের চার মাইলে প্রায় দুই একর জমি-সহ দোতলা বাড়িটি রামকৃষ্ণ মিশনকে দান করেছিলেন জলপাইগুড়ি শহরের জনৈক সুনীলকুমার রায়। পরে সেই জমির মালিকানা নিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। আদালতের রায়ে সেই সম্পত্তি এখন মিশনের হাতেই রয়েছে। সেখানে স্কুল তৈরির পরিকল্পনা করেছেন মিশন কর্তৃপক্ষ। মিশনের কয়েক জন সন্ন্যাসী ওই বাড়িতেই থাকতেন। অভিযোগ, সেখানেই হামলা চালিয়েছে জমি মাফিয়ারা।
Comments