বৃহস্পতিবার ফের বিধানসভা উত্তাল, সন্দেশখালি যাচ্ছেন শুভেন্দু, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দূর্গের মত নিরাপত্তা সন্দেশখালিতে
কলকাতা, ১৫ ফেব্রুয়ারি: শুভেন্দু অধিকারী-সহ ৬ বিধায়কের সাসপেন্ড কড়া ইস্যুতে বৃহস্পতিবার ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গার নেতৃত্বে এদিন অধিবেশনের শুরু থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিধায়করা। কালো কাপড় দেখিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
অধ্যক্ষ বারবারই তাঁদের বিরত করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, “এমন আচরণ করবেন না।” পাল্টা বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গার মন্তব্য, “বিরোধী দলনেতাকে বারবার সাসপেন্ড করলে হাউজ চলবে কি করে?” বিধানসভার ভেতরে যখন এমন বাদানুবাদ চলছে, তখন অধিবেশনের শুরু থেকেই বিধানসভার মূল ভবনের বাইরে সিঁড়িতে বসে সাসপেনশন তোলার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান শুভেন্দু সহ ছয় বিধায়ক। গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ধর্নায় বসেন তাঁরা। পরে বিধানসভার ভেতর থেকে বিজেপি বিধায়করা ওয়াকআউট করে শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে এসে বসেন। মুহূর্তে বিধানসভায় ভেতরে ও বাইরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়।
আজ, বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির ৩০ জন বিধায়ক সন্দেশখালি যাবেন। বিধানসভা থেকে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তাঁরা। এছাড়াও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পুলিশি হেনস্থার অভিযোগে আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে এসপি ও সিপি অফিস ঘেরাও- বিক্ষোভ অভিযানের ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা ছাড়াও আজ সন্দেশখালি যাওয়ার কথা কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী এবং বামেদেরও। এছাড়া তফশিল কমিশনের সদস্যরাও তদন্ত অনুসন্ধানে যাবেন ওই এলাকায়। বাসন্তী রোডের উপর মালঞ্চ বাজারের কাছে আদিবাসী মহিলারা শুভেন্দু অধিকারীর বাস দেখে বিক্ষোভ দেখান। ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও দেন। তবে, পুলিশ তাঁদের বাসের ধারেকাছে যেতে দেয়নি। সারনা ধর্মের স্বীকৃতির দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন।
কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রীতিমতো দুর্গের চেহারা নিয়েছে সন্দেশখালি। মোতায়েন রয়েছেন বহু পুলিশকর্মী। দেওয়া হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড। এই সমস্ত ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি ফের উত্তপ্ত হবে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।
Comments