top of page

বর্ষার শুরুতেই সিকিমের ভয়াবহ পরিস্থিতি

Writer's picture: The ConveyorThe Conveyor



১৩ জুন, ২০২৪: কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গ, সিকিম জুড়ে অতিভারী বৃষ্টির জেরে জল বাড়ছে তিস্তা নদীতে। দক্ষিণ সিকিম থেকে গ্যাংটক তুমুল বৃষ্টিতে নাকাল সব জায়গা। বৃষ্টির জেরে সিকিমের একাধিক এলাকায় পাহাড় থেকে ধস নেমেছে।

সিকিমের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার গ্যাংটকেই ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গেজ়িংয়ে বৃষ্টি হয়েছে ৬৫ মিলিমিটার। দক্ষিণ সিকিমের রাভাংলাতে বৃষ্টি হয়েছে ১১৯.৫ মিলিমিটার। আর উত্তর সিকিমে শুধু মঙ্গনেই ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে জলস্তর বেড়েছে তিস্তার। উত্তর সিকিমে মঙ্গন-এর রাস্তা ধসে গিয়েছে। ডিজঙ্গু এলাকায় যাওয়ার রাস্তা কার্যত নেই। জল বয়ে চলেছে রাস্তার উপর দিয়ে। জলস্তর বাড়ায় তিস্তাবাজার থেকে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। তিস্তার জলস্তর এতটাই বেড়েছে যে দক্ষিণ সিকিমের মল্লি স্টেডিয়ামের উপর দিয়ে জল বয়ে চলেছে। এই নদী যে শুধু তিস্তাপা়রেই বিপর্যয় ডেকে এনেছে, তা নয়। জলপাইগুড়ির সরস্বতীপুর চা-বাগান এলাকা থেকে শুরু করে গজলডোবা ব্যারেজ পার করে মিলনপল্লি চর থেকে বোদাগঞ্জের গৌরিকোন, বারোপাটিয়া চড়, রন্ধামালির চড়-সহ দোমোহানির সেতু পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিকিম প্রশাসন সব রকম ভাবে চেষ্টা করছে। যে সকল জায়গায় রাস্তা বন্ধ হচ্ছে সেই জায়গা পুনরায় ঠিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ টিরও বেশি বাড়ি। মঙ্গনের কাছে পাকশেপ বলে এলাকায় দু’জন এখনও নিখোঁজ একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে, আম্বিথাং এ তিন জন এখনও নিখোঁজ। সংকলাং ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করার জন্য মংশিলা ডিগ্রি কলেজের কাছে জাতীয় সড়কে একটি সিবি মেশিন ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে।

যদিও বেলা বাড়তেই খানিক নেমেছে তিস্তার জলস্তর। কিন্তু দুর্যোগের মেঘ যে কেটে গিয়েছে, তা কেউ নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছেন না। আগামী দু’দিন উত্তর সিকিমে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃষ্টি বন্ধ না হলে দুর্যোগ আরও বেশ কয়েকদিন চলবে বলেও মনে করা হচ্ছে। আগামী দু’দিনের যা পূর্বাভাস, তা নজরে রেখে উত্তর সিকিমে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্যান্য জায়গায় রয়েছে কমলা সতর্কতা।

বর্ষার শুরুতেই তিস্তার এমন রূপ ভাবাচ্ছে পাহাড় থেকে সমতল সবাইকেই। ঘটনাচক্রে, এই পরিস্থিতির নেপথ্যে গত অক্টোবরের সেই বিপর্যয়ের ঘটনার যোগ থাকতে পারে বলেই মনে করছেন পরিবেশবিদদের একাংশ। অনেকে আবার দায়ী করছেন রংপো রেল সুড়ঙ্গের নির্মাণকেও।

বৃহস্পতিবার কালিম্পং জেলা প্রশাসন একটি নির্দেশিকায় জানিয়েছে মেল্লি সেতু, রবিঝোরা, লিখুভিড়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা মেরামতির জন্যই আপাতত রাস্তা বন্ধ রাখা হচ্ছে। বড় থেকে ছোট সব ধরনের গাড়িরই চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। বিকল্প পথ হিসেবে ছোট গাড়িগুলি আপাতত মানসং-১৭ মাইল-আলগাড়া-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি যাতায়াত করতে পারবে। বড় এবং ভারী গাড়িগুলি পেডং-আলগাড়া-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছতে পারবে। পাশাপাশি কালিম্পং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য ২৭ মাইল থেকে তিস্তা ভ্যালি হয়ে দার্জিলিং পৌঁছনো যাবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

Comments

Rated 0 out of 5 stars.
No ratings yet

Add a rating

Top Stories

প্রতিদিনের খবর এবং বিভিন্ন ফিচার ভিত্তিক লেখা, যেখানে খবরের সত্যতা তথা লেখনীর উৎকৃষ্টতা প্রাধান্য পায়। ফিচার ছাড়াও যে কোনও রকম লেখনী শুধুমাত্র উৎকৃষ্টতার নিরিখে গুরুত্ব পাবে এই সাইটে

Thanks for subscribing!

  • Whatsapp
  • Youtube
  • Instagram
  • Facebook
  • Twitter

The Conveyor

bottom of page