top of page

নলবনে সন্দেহজনকভাবে বেশ কিছু গাছ উপড়ে পড়েছে


কলকাতা, ২০ ফেব্রুয়ারি: সল্টলেকের নলবন বিনোদন পার্ক শহরের অতি পরিচিত একটি জায়গা। তরুণ প্রজন্ম এখানে সময় কাটানোর পাশাপাশি নানা ধরনের রাইড থাকায় বাচ্চারাও আসে। বিনোদন পার্কটি রাজ্য সরকারের অধীনস্ত। এখানেই ২০–২৫টি বড় গাছ উপড়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই কাণ্ড পড়ে গিয়েছে। সুকান্তনগরে অবস্থিত নলবনে এতগুলি গাছ নিজে থেকেই উপড়ে পড়ে যাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। কেন এভাবে গাছ উপড়ে পড়ে গেল?‌ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

জেসিবি দিয়ে উপড়ে ফেলা হচ্ছে একের পর এক পুরোন গাছ, এমনই অভিযোগ করছেন কিছু মানুষ। স্থানীয়দের দাবি ভেড়ী ভরাট করে গাছ কেটে সেখানে তৈরি করা হবে পার্কিং লট। পরিবেশবিদরা যখন বলছেন একটি গাছ কাটলে দশটা লাগাতে তখন রাজ্য সরকারের এই কাজ অনেককে অবাক করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় যেই সব গাছ কাটা হয়েছে তা প্রায় ৪০ থেকে ৫০ বছর পুরোনো। স্থানীয় মানুষজনেরাও বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এদিকে রাজ্য মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রাকৃতিক নিয়মেই এই গাছগুলি উপড়ে পড়ে গিয়েছে। যদিও এখানে নিষ্কাশনের কাজ চলছিল এক এজেন্সির মাধ্যমে। তার জেরেই এটা ঘটেছে।





তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য দফতর। দফতরের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, উপড়ে পড়া গাছগুলির জায়গায় নতুন করে লাগানো হবে। বন দফতর অকুস্থল পরিদর্শন করতে আসবেন। ইতিমধ্যেই তারা খোঁজখবর নিয়েছে। এই পরিদর্শনের পর বন দফতর প্রকৃত কারণ জানাবে বলে জানিয়েছেন মৎস দফতরের এক আধিকারিক।

পাশাপাশি ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ। তাঁরা ইতিমধ্যেই সাক্ষাৎ করেছে পূর্ব কলকাতার জলাভূমি ভরাট ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। বিষয়টি সেখানে জানানো হয়েছে। এমনকী বন দফতর ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গেও কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধিরা।


 
 
 

Comments

Rated 0 out of 5 stars.
No ratings yet

Add a rating

Top Stories

প্রতিদিনের খবর এবং বিভিন্ন ফিচার ভিত্তিক লেখা, যেখানে খবরের সত্যতা তথা লেখনীর উৎকৃষ্টতা প্রাধান্য পায়। ফিচার ছাড়াও যে কোনও রকম লেখনী শুধুমাত্র উৎকৃষ্টতার নিরিখে গুরুত্ব পাবে এই সাইটে

Thanks for subscribing!

  • Whatsapp
  • Youtube
  • Instagram
  • Facebook
  • Twitter

The Conveyor

bottom of page