top of page

বছর শেষে তামিলনাডু

স্বর্ণালী গোস্বামী

তামিলনাডু। ইতিহাস, পুরাণ, আধ্যাত্মিকতার মিশেল সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো উছলে পড়া সৌন্দর্য নিয়ে আপনার সামনে হাজির

তামিলনাডু। দক্ষিণ ভারতের এমন একটি রাজ্য, যেখানে ইতিহাস, পুরাণ, আধ্যাত্মিকতার মিশেল সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো উছলে পড়া সৌন্দর্য নিয়ে আপনার সামনে হাজির। বাড়তি পাওয়া অবশ্যই ইস্ট-কোস্ট ধরে আপনার সঙ্গী বঙ্গোপসাগর, যা ধনুষ্কোটিতে পাল্ক বে এবং কন্যাকুমারীতে ভারত মহাসাগর ও আরব সাগরের মিলনে আপনাকে এক অপার সৌন্দর্যের জগতে নিয়ে যাবে।

আমার মনে হয় মানুষের জীবনে খাওয়া, ঘুম, কাজের যেমন গুরুত্ব আছে, তেমনি মনের এবং শরীরের আরামের জন্য, নতুন করে উজ্জীবিত হওয়ার জন্য ঘোরা বা ঘুরতে যাওয়ারও একটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বাঙালিরা মূলত এই ব্যাপারটায় বরাবরই বেশ দড়। মধ্যবিত্ত, চাকুরীজীবি বাঙালি প্রতি বছর বেরিয়ে পড়তে ভালোবাসত কাছে-পিঠে। 'দীপুদা' বাঙালির আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ছিল সেই কোন সময় থেকে। বাক্স-প্যাঁটরার সঙ্গে সেই সময় বাঙালির সঙ্গী থাকত একটা ঢাউস হোল্ড-অল। এ কিন্তু দড়ি বাঁধা বেডিং নয়, সবুজ বা মেটে রঙের সেই হোল্ড-অলের আবার আলাদাই গোত্র ছিল। দুপাশে বালিশ- চাদর- কম্বল মুড়ে, মাঝে পাতলা তোষক, বাচ্চাদের পাতলা লেপ মুড়ে সেই হোল্ড-অল বেল্ট দিয়ে বাঁধা হত। ঢাউস বললাম বটে, কিন্তু বাঁধার পর তার আলাদাই লুক হত, যা ঈর্ষণীয় ছিল।

আমাদের ছোটবেলায় বেশিরভাগ ঘোরা হয়েছে ওই হোল্ড-অলের সঙ্গে। বাবার অফিসের ইউনিয়নের কনফারেন্স থাকত বিভিন্ন জায়গায়। রেলের লোকজন পরিবার নিয়ে পাড়ি দিত তল্পি-তল্পা গুটিয়ে। বিভিন্ন জায়গার কর্মীদের মিলনস্থল ছিল সেই সব কনফারেন্স। গেট টুগেদারও বলা যেতে পারে। জানিনা এখন আর তেমন কিছু হয় কি না। আমরা ২টি বা ৩টি কামরা বুক করে পাড়ি দিতাম অজানা শহরের উদ্দেশ্যে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ওই সব কামরায় লোক উঠে আমাদের সঙ্গে যোগ দিত। আমাদের (মা-এর বিচক্ষণতায় থাকত সেই সময়ের শুকনো খাবার। ছোলা, মুড়ি, ছাতু, চিনি, গুড়, চিনে বাদাম। থাকত লেবু। জলখাবার সেগুলো দিয়েই হত। বাইরের রুটি তরকারি বা পরোটা-লুচি কোনওদিনই আমরা জলখাবারে খাইনি বেড়াতে গিয়ে। পেটের সমস্যা হবার ভয়ে এই ব্যবস্থা) সবার একসঙ্গে খাওয়া- দাওয়ার ব্যবস্থা থাকত। তবে থাকা হত কিন্তু কোনও ধর্মশালায় বা রেলের রিটায়ারিং রুমে। আসলে বাহুল্যের মধ্যে তো আমরা বড় হইনি। তাই হোটেলে থাকার অভিজ্ঞতা নেই ছোটবেলার। এক্ষেত্রে ছোট মানে ছোটই। আমার যদি বা স্মৃতিতে আছে, জানিনা সেই সব ঘোরার স্মৃতি ভাইয়ের আছে কি না। কারন শেষ গিয়েছিলাম বোধহয় ১৯৮৩-৮৪ সালে। ১৯৮৫ সালে ইসলামপুরে চলে আসি, তারপর থেকে আমার বিশেষ করে উঁচু ক্লাস হয়ে যাওয়ার দরুন মা আর ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানে থাকত না।

লিখতে বসে শুরুতেই অতীত ঘুরে আসতে ইচ্ছে করল, তাই একটু লিখেই ফেললাম। এখন দিনকাল পাল্টে গেছে। বাঙালি আর এখন 'দীপুদা' তে সীমাবদ্ধ নেই। বাঙালি মধ্যবিত্তও রেস্তর জোর করে বেড়িয়ে পড়ছে দেশান্তরে। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশ ভ্রমণ এখন বাঙালির স্টেটাস সিম্বল হয়ে গেছে। তবে আমি মনে করি শুধু স্টেটাস হিসেবে না দেখে এই বিদেশ ভ্রমণ কিন্তু মনের পাশাপাশি চোখ এবং মননকেও ঋদ্ধ করে। সে যাই হোক, আমাদের বিদেশে যাওয়ার অবকাশ নেই। কর্তার অফিসের এলটিসি-র দৌলতে বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার সৌভাগ্য হয়েছে। তবে হ্যাঁ, অনেকে সময়- সুযোগ করে সেই এলটিসি টাও ঠিকমত কাজে লাগাতে পারেনা, আমরা সেটা চুটিয়ে উপভোগ করেছি এবং করছি। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ট্যুর করি আমরা এক- একটা এলটিসি নিয়ে। তেমনই এবারে গিয়েছিলাম তামিলনাডু।

লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে হালে হৈ চৈ হচ্ছে, অথচ আমাদের সেখানেই যাওয়ার কথা ছিল এবারে। কিন্তু ওই যে বললাম, সময় সুযোগ করে সবাই যেতে পারেনা। আমাদের এবারেও তাই হয়েছিল। মেয়ের পরীক্ষা, ছুটি বুঝেই আমরা বেরোই প্রথম থেকেই। আমাদের এবারে বড়দিনের ছুটিটাতে যাওয়ার প্ল্যান ছিল। তার আগে অব্দি মেয়ের পরীক্ষা। অথচ সেই ২৩ ডিসেম্বরের ডেট টাতেই 'স্পোর্টস'-এর শিডিউল খোলা মাত্রই তিন ঘন্টার ভেতরে সব বুকড হয়ে গিয়েছিল। তার ঠিক আগে ১৪ ডিসেম্বর তখনও পড়ে রয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত হল প্ল্যান বি। চেন্নাই থেকে শুরু করে মমল্লপুরম, পুদুচেরি, থাঞ্জাভোর, মাদুরাই, রামেশ্বরম, কন্যাকুমারী হয়ে ট্যুর শেষ হল কেরালার তিরুবনন্তপুরমে। আসলে কন্যাকুমারীতে ফ্লাইটের অপশন ছিল না, তাই কেরালা। ১৫ দিন ঘুরে বেশ কাটল এই শীতটা।

তামিলনাডু ছোট্ট একটি রাজ্য এবং প্রত্যেকটি ঘোরার জায়গা (আমরা যে ক'টা জায়গা কভার করতে পেরেছি) বেশ ছোট ছোট শহর। বলা ভালো, শহরের মধ্যে খুব কাছাকাছি দর্শনীয় জায়গাগুলো। তাই বেশ লোকাল গাড়ি বা অটো করেই ঘুরেছিলাম এবারে আমরা। মূলত দক্ষিণ ভারতে চোল, পল্লব তথা হয়সল সাম্রাজ্যের সময় যে সমস্ত স্থাপত্যগুলো নির্মিত হয়েছিল, তাই দর্শনীয় স্থান হিসেবে রয়েছে। এছাড়া রয়েছে পুরাণের গল্প সহ বিভিন্ন ধর্মীয় মন্দিরগুলো। তা সে কপালেশ্বর, বৃহদেশ্বর, মীনাক্ষী মন্দির-ই বলুন বা রামেশ্বরমের মন্দির। ধর্ম এই রাজ্যের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। আর রয়েছে অবশ্যই ইতিহাসের কথা বলা বিভিন্ন স্থাপত্য- ভাস্কর্য। প্রতিটি জায়গায় আপনি মিউজিয়াম পাবেন, সেই জায়গার অতীত জানতে। চেন্নাইয়ের ন্যাশনাল মিউজিয়াম তো ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিউজিয়াম। কলকাতার ন্যাশনাল মিউজিয়ামের পরেই তার স্থান। রয়েছে প্রচুর দ্রষ্টব্য জিনিসপত্র। অনেকেই হয়ত তা জানেন না। পুদুচেরির অরোভিলে আপনাকে এক অন্য জগতে নিয়ে যাবে। পাশাপাশি সেখানকার ফ্রেঞ্চ কলোনি আপনাকে দেবে শহরটির আলাদা আস্বাদন। রয়েছে দক্ষিণ ভারতের খ্যাতনামা বস্ত্রশিল্পের বিরাট সম্ভার। সিল্ক বা কটন, যেমনটি চাইবেন, পাবেন আপনি মনের মত। আর সঙ্গী তো অবশ্যই বঙ্গোপসাগর। এক এক জায়গায় সমুদ্রের এক এক রূপ দেখছিলাম যেন, যা অবাক করছিল। এছাড়াও আবহাওয়া ছিল অসাধারণ। ডিসেম্বরের শীতে মালুম হচ্ছিল সেপ্টেম্বর বা মার্চ মাসে রয়েছি। আবহাওয়া এতটাই মনোরম। দক্ষিণ ভারতের খাওয়া- দাওয়া অনেকের কাছে বোরিং হলেও আমরা বেশ উপভোগ করেছি। তবে মাঝে- মধ্যে বিভিন্ন আধুনিক রেস্তোরাঁয় গিয়ে যদিও নিজেদের জিভের স্বাদ মিটিয়ে নিয়েছিলাম। আর আপনাকে ভরিয়ে দেবে কন্যাকুমারীর প্রকৃতি সঙ্গে বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল। আমার বহুদিনের বাসনা ছিল এই রক মেমোরিয়াল দর্শন করার। তা এতদিনে পূরণ হল। ত্রিবেণী সঙ্গমের ওই অঞ্চল থেকে আমি একটি পাথর নিয়ে এসেছি নিজের সঞ্চয়ে রাখব বলে।

যেতে যেতে একটা বিষয়ে উল্লেখ করব ভেবেই রেখেছিলাম। আমি সময় বাঁচানোর জন্য এবং শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রতি জায়গায় মন্দিরের দর্শন করেছিলাম বিকেলে। কপালেশ্বর, বৃহদেশ্বর মন্দির ভালোয় ভালোয় মিটলেও (লাইন দিতে হয়েছিল কিন্তু অধৈর্য হওয়ার পর্যায়ে পৌছোয়নি) জোর ধাক্কা খেলাম মাদুরাইতে মীনাক্ষী আম্মান মন্দির দর্শনে গিয়ে। আলাদাভাবে টাকা দিয়ে স্পেশাল টিকিটের ব্যবস্থা আছে। ৫০ টাকায় আম্মা দর্শন এবং ১০০ টাকায় আম্মা ও স্বামী দর্শন। কাটলাম ১০০ টাকার টিকিট। স্বাভাবিকভাবেই ভাবলাম ছোট কোনও লাইনে দাঁড়াতে হবে। একটি লাইন দেখতে পাচ্ছি, যার শেষ দেখা যাচ্ছে না। তেমন লাইন না পেয়ে উপস্থিত পুলিশকে জিজ্ঞেস করলাম। উনি বললেন, এটাই স্পেশাল লাইন! আমি বললাম, ৫০ নয়, ১০০ টাকার লাইন। বললেন, হ্যাঁ হ্যাঁ, এই একটাই স্পেশাল লাইন, ৫০ এবং ১০০ টাকার জন্য। দেখে তো আমার চক্ষু- চড়ক গাছ! বছরের শেষ ছুটি, তায় ওই রকম আবহাওয়া, ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তথা বিদেশ থেকে লোক গিয়েছে দক্ষিণ ভারতে। গিজ গিজ করছে লোক, যেখানে গেছি সেখানে। নিজেদের ছবি তুলেছি অনেক কম। দর্শনীয় জায়গার ছবি/ ভিডিওও তুলতে পারিনি ভিড়ের ভেতর থেকে মনের মত করে। তো মেয়েকে বললাম, তোমরা হোটেলে চলে যাও। আমি দর্শন করে নিজে অটো নিয়ে চলে যাবো। এখানে বলে রাখি, সব মন্দিরে আমি একাই বিগ্রহ দর্শন করেছিলাম। ওই ভিড় ঠেলে দর্শন করলে আলাদা কিছু পুণ্যার্জন হবেনা বলেই বিশ্বাস করেছিল মেয়ে এবং তার বাবা। এদিকে আমার মোবাইল তাদের কাছে। রিম যথেষ্ট চিন্তিত, মোবাইল ছাড়া মা একা একা হোটেলে কিভাবে ফিরবে ভেবে। তবে আমাদের হোটেলটা মন্দিরের কাছেই ছিল। অটোয় ৬-৮ মিনিট লেগেছিল আসতে। আমি বললাম, আমি ঠিক পৌঁছে যাব, চিন্তা কোরোনা। তো এই বলে দর্শনের জন্য লাইনে দাঁড়ালাম। সাপের মত আকার নিয়ে লাইন তো এগোচ্ছে। মন্দিরের এক জায়গায় আমাদের দুর্গাপুজোয় ঠাকুর দেখার লাইনের মত করে বাঁশ দিয়ে ঘেরা। সেই ঘেরাটোপের মধ্যে রয়েছে দশটা রো। এত ধীর গতিতে লাইন এগোচ্ছে, আর এত ভিড়, যে সেই রো-এর মাঝামাঝি জায়গায় দাঁড়িয়ে এক সময় মনে হচ্ছিল যেন দম আটকে আসছে। জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে সেই পরিস্থিতি কাটিয়েছি। তারপর সেই জায়গা পেরিয়ে মন্দির ঢোকার একটা রাস্তা পেরিয়ে পৌঁছলাম আর একটা রেলিং দেওয়া জায়গায়। বুঝলাম অন্যান্য সময় এখান থেকেই স্পেশাল লাইন শুরু হয়। তেমনিই লেখা ছিল সেখানে। অবিশ্বাস্যভাবে সেই রেলিং-এর ভেতর ঠায় ২৫ মিনিট দাঁড়িয়ে। সব কিছু পেরিয়ে যখন আম্মানের বিগ্রহ দর্শন করলাম তখন বাজে রাত ৯.১০! লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম ৫.৪০ এ।

এই মীনাক্ষী মন্দির ভারত তথা পৃথিবী বিখ্যাত। এখানে প্রচুর ভক্ত আসেন। ভিড় হলে কিভাবে ভক্তদের দর্শন করার, পুজো দেওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়, তা মন্দির কমিটি যদি গুরুত্ব দিয়ে না বিবেচনা করেন, তাহলে কিভাবে চলবে? আমি যখন বেরোচ্ছি, তখনও যা লাইন দেখলাম, বিগ্রহ অব্দি পৌঁছতে তাদের আরও দুঘন্টা লাগবে। মন্দিরের দরজা খোলা রাত ৯.৩০ অব্দি। সেই সব লোকগুলি টাকা দিয়ে, অতক্ষণ দাঁড়িয়ে বিগ্রহই তো দর্শন করতে পারবেন না! সেটার দায় নেবেন মন্দির কর্তৃপক্ষ? ব্যবসা করুন, মানুষের সময়ের দাম দেওয়ার জন্য ব্যবসা করুন। এমন করে ব্যবসাভিত্তিক করে তুলছেন কেন গোটা ব্যাপারটা মীনাক্ষী মন্দিরের মত বিশ্বখ্যাত এক মন্দিরের জন্য? ওই মন্দিরের বিগ্রহ যেমন জাগ্রত, তেমনি মন্দিরের কারুকাজ। অবাক হয়ে চেয়ে থাকতে হয় সেই অপরূপ মন্দিরের ভাস্কর্য দেখে। মীনাক্ষী আম্মানের সিঁদুর নিয়ে আসা নাকি মঙ্গলের, এমনই শুনেছি। সেই পুণ্য অর্জন তো সবাই করতে চাইবে। জানি, কিছু মানুষ আছেন, কৃচ্ছসাধন করতে ভালোবাসেন এসব ক্ষেত্রে। কিন্তু সবাই তো তা নন! তাদের জন্য ভাববেন না মন্দির কর্তৃপক্ষ? অবশ্যই এ বিষয়ে ভাবা উচিত।

সব থেকে ভালো পুজো দিয়েছি ভারতের রিচেস্ট টেম্পল পদ্মনাভস্বামী নদীর তিরুবন্তপুরমে। স্পেশাল টিকিটের যেমন ৫০০ টাকা দাম নিয়েছে, তেমনি সুচারুভাবে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে প্রত্যেক পয়েন্টে লোক দাঁড়িয়ে থেকে স্পেশাল দর্শনার্থীদের সুযোগ করে দিয়েছে আগে আগে দর্শন করে পুজো দেওয়ার। মাত্র আধ ঘন্টায় মন্দির ঘুরে দেখে বেরিয়ে এসেছি।

তবে অবশ্যই বলব, দক্ষিণ ভারতের প্রতিটি মন্দির অবশ্য দ্রষ্টব্য। ভেতরে না গেলে মন্দিরের ভেতরের স্থাপত্য সম্পর্কে ধারণাও করা যায়না। ভাবলে অবাক হতে হয়, কী ভীষণ সৃষ্টিশীল ছিলেন সেই আমলের শিল্পীরা! কোনও রকম আধুনিক জিনিসপত্র ছাড়া অসাধারন সমস্ত স্থাপত্য উপহার দিয়ে গেছেন আমাদের। এখানেই ওই রাজ্য ঘোরার সার্থকতা।

bottom of page