AI-ব্যবহার করে অরিজিতের কণ্ঠ-সহ কোনও কিছুই করা যাবেনা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, বিজ্ঞাপন-সহ কোনও ক্ষেত্রেই, সাফ জানাল আদালত
১ অগাস্ট, ২০২৪: কৃত্রিম মেধা বা AI, এই শব্দটার সাথে পরিচিত হাল আমল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সকলেই। এই টুল ব্যবহার করে কি না করা যায়, তার তালিকায় বরং করা যায়, এমন একটা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে হুবহু গলা নকল করার যে ক্ষমতা এই কৃত্রিম মেধার রয়েছে, তাই দিয়ে বহু অসাধু কাজ করা যাবে অনায়াসেই। সেই আশঙ্কা করেই নিজের কন্ঠ বাঁচিয়ে রাখতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বনামধন্য গায়ক অরিজিৎ সিং।
তাঁর অসাধারন গলাই হিট করে দেয় গানকে। তা সে পার্টি মিউজিক হোক বা দুঃখের গান, অরিজিতের গলায় পড়লেই যেন সেই গান হিট হবেই হবে। অরিজিত সিংয়ের অভিযোগ, বিনা অনুমতিতে একাধিক AI ক্রিয়েটর তাঁর কণ্ঠ এবং গান গাওয়ার ধরনকে ব্যবহার করেছে। তাঁর গান গাওয়ার ভঙ্গি নকল করা হচ্ছে। সই নকল করা হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, অরিজিতের নামে একাধিক ওয়েবসাইট চলছে। বিনা অনুমতিতেই এসব হচ্ছে। এসব জোচ্চুরি থেকে নিজের আওয়াজকে বাঁচাতেই বড় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন অরিজিত। দ্বারস্থ হয়েছিলেন আদালতের।
গত ২৬ জুলাই এই আবেদনের শুনানিতে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি রিয়াজ চাগলা বলেন, সমালোচকদের কথা বলা এবং মতপ্রকাশের অধিকার রয়েছে। তা বলে বাণিজ্যিক স্বার্থে একজন সেলেব্রিটির ব্যক্তিত্বকে নষ্ট করা যায় না। AI টেকনোলজি ব্যবহার করে অরিজিতের কণ্ঠ-সহ কোনও কিছুই কোনও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, বিজ্ঞাপন-সহ কোনও ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যাবে না।
গায়কের আইনজীবী হিরেন কামোদ বলেন, তাঁর মক্কেল (অরিজিৎ) দীর্ঘদিন ধরে কোনও ব্র্যান্ড এন্ডর্সমেন্টের সঙ্গে যুক্ত নন। বম্বে হাইকোর্ট বিনা অনুমতিতে চলা ওইসব কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন আটটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে। ২ সেপ্টেম্বর অরিজিতের এই আবেদনের পরবর্তী শুনানি।
Comments