২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিনের মাথায় ‘অপারেশন সিঁদুর’
- The Conveyor
- May 7
- 2 min read

৭ মে, ২০২৫: মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানে পহেলগাঁও কাণ্ডের বদলা নিল ভারত। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হেনেছে ভারতীয় বাহিনী। ভারত এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ঘটে যাওয়া নারকীয় জঙ্গি হামলার পর ভারতের জবাবি অভিযান ছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে যে, পাকিস্তানে এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ করা হয়েছে। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের ১৪ দিনের মাথায় জঙ্গি হামলার বদলা নিল ভারত।
ভারতের হামলার কথা স্বীকার করেছে পাকিস্তানও। পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্স-এর ডিরেক্টর জেনারেল সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, রাত ১টা নাগাদ পাকিস্তানের মোট ছ’টি জায়গায় ২৪টি হামলা চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী।
বুধবার সকালে দিল্লিতে প্রেস ব্রিফ করে ৩ সদস্যের এক টিম। প্রেস ব্রিফে অংশ নেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি, সেনা অফিসার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি, বায়ুসেনা উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। বিক্রম মিশ্রি ভারতের বিদেশ সচিব, তাবড় কূটনীতিবিদ এবং একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত। ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান নিয়ে দিল্লির বুক থেকে এদিন বক্তব্য রাখেন দুই মহিলা সেনা অফিসার। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরেই সীমান্ত এলাকাগুলিতে সতকর্তা জারি করা হয়েছে।
ভারতীয় সেনাকে বাহবা জানিয়ে ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচের আগে বাজল জাতীয় সঙ্গীত। বুধবার সন্ধ্যায় একটি সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বৈঠকে মমতা বলেন, ‘দেশকে যাঁরা রক্ষা করছেন, তাঁদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের দায়বদ্ধতা পালন করব।’ বুধবার বিকেলে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। ভার্চুয়ালি সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকের পরেই মমতা বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে আজ বৈঠক হয়েছে।…আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য, ভয় না পেয়ে ঠান্ডা মাথায় সবটা আগলে রাখা। যেহেতু অনেকগুলি রাজ্য সীমান্ত এলাকায়, তাই সবাইকে একসঙ্গে ভালো করে চলতে হবে। শান্তিরক্ষা করতে হবে।’ পুলিশকে চেকিং বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। ভিজিল্যান্সও বাড়ানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যেন কোনও বিভেদ না থাকে। সবার সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে, প্যানিক হওয়ার কোনও কারণ নেই। কাউকে আতঙ্কিত হতে হবে না।'
Comentarios