top of page

১২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ উঠল। মেডিক্যাল ভর্তি দুর্নীতি মামলা নিজেই নিল সুপ্রিম কোর্ট


২৯ জানুয়ারি ২০২৪: ২০২২ সালের ১২ হাজার প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট জানাল, নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে রাজ্য। এই নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাতেই মান্যতা দিল শীর্ষ আদালত।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যাঁরা ডিএলএডের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁরাও নিয়োগে অংশ নিতে পারবে। পর্ষদের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের সিদ্ধান্তেই মান্যতা দেন। ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু ২০২৩ সালের এপ্রিলে হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদের ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়। দুই বিচারপতির বেঞ্চ পর্ষদের ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের বিজ্ঞপ্তিও বাতিল করে দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। ২০২৩ সালের ২৮ জুলাই বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ জানায়, আদালত নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পর্ষদ কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারবে না। তার পর থেকে মামলাটির শুনানি একাধিক বার পিছিয়ে গিয়েছে।

গত ২২ জানুয়ারি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, প্রাথমিক শিক্ষক পদে ১১,৭৬৫ শূন্যপদ রয়েছে। রাজ্য প্রশাসনও প্যানেল প্রকাশ করে দ্রুত নিয়োগ করতে চাইছে। তারপর আজকের এই রায়। সোমবার প্যানেল প্রকাশেও বাধা তুলে নিল বিচারপতি হিমা কোহলি, বিচারপতি আসানুদ্দিন আমানুল্লাহের বেঞ্চ।

অপরদিকে আজ শীর্ষ আদালত মেডিক্যাল ভর্তি দুর্নীতি মামলা হাই কোর্ট থেকে সরিয়ে সুপ্রিম কোর্ট নিজের হাতে নিল। এখন মামলাটি সরাসরি সুপ্রিম কোর্ট দেখবে বলে আজ নির্দেশ দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। মেডিক্যালে মামলার সব পক্ষকে লিখিত আকারে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি আজ জানান, কলকাতা হাই কোর্টে ডিভিশন বেঞ্চ এবং সিঙ্গল বেঞ্চ নিয়ে যা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট তা ভাল চোখে দেখছে না। এ বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য তাঁরা করবেন না। তাতে হাই কোর্টের গরিমা ক্ষুণ্ণ হতে পারে। আগামী তিন সপ্তাহ পরে আবার মেডিক্যাল মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।

মেডিক্যাল কলেজে ভরতির অনিয়ম মামলায় বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। এই নির্দেশের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য। তখন বিচারপতি সৌমেন সেন বিচরপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর মৌখিক স্থগিতাদেশ দেন। বুধবার বিকেলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে মামলাটি ফের একবার ওঠে। তিনি জানান, স্থগিতাদেশের লিখিত প্রমাণপত্র না পেলে তা মানা হবে না। সিবিআইকে তদন্ত শুরু করত নির্দেশ দেন তিনি। এর পাশাপাশি দু' তরফে আরও কথার মারপ্যাঁচ হয়।

বেনজির এই সংঘাতের আবহে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শনিবার ছুটির দিনে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে এই মামলা শোনে শীর্ষ আদালত। ওই দিন মেডিক্যাল মামলায় হাই কোর্টের যাবতীয় বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় সিবিআই তদন্তেও। তারপর আজ এই শুনানি দেওয়া হল।

Commentaires

Noté 0 étoile sur 5.
Pas encore de note

Ajouter une note

Top Stories

bottom of page