top of page

সংসদে প্রধামন্ত্রী জানিয়েই দিলেন, অপারেশন সিঁদুর বন্ধ করার জন্য ট্রাম্পের কোনও ফোন আসেনি

ree


২৯ জুলাই, ২০২৫: মঙ্গলবার লোকসভায় অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন ট্রাম্পের এই দাবিকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি৷ সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল দাবি করলেন, ট্রাম্পের দাবি যদি মিথ্যে হয় তাহলে লোকসভায় দাঁড়িয়ে তা বলুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তিনি দাবি করেন, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পৃথিবীর সব দেশ সন্ত্রাসবাদের সমালোচনা করলেও একটি দেশও পাকিস্তানের সমালোচনা করেনি৷


জবাবে ট্রাম্পের নাম না নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করার জন্য বিশ্বের কোনও রাষ্ট্রনেতা ভারতকে বললেননি৷ যদিও মোদী এ দিন লোকসভায় জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত চলাকালীন আমেরিকার উপরাষ্ট্রপতি গত ৯ মে তাঁকে ফোন করেছিলেন৷ প্রধানমন্ত্রী জানান, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এক ঘণ্টা ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি সেই সময়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। পরে তিনি তাঁকে ঘুরিয়ে ফোন করেছিলেন। ভ্যান্স সতর্ক করেছিলেন, পাকিস্তান বড় আক্রমণ করতে তৈরি। জবাবে মোদী বলেছিলেন, তারা এই পরিকল্পনা করলে, তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে। তারা গুলি করলে বোমা দিয়ে জবাব দেওয়া হবে।


মোদী এদিন ভাষণে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সেনাশক্তি তছনছ করেছি। এটাই ছিল জবাব। আজ পাকিস্তান বুঝে গেছে, ভারতের সব জবাব আগের থেকে আরও জোরদার হবে। সিঁদুর অভিযান জারি রয়েছে। পাকিস্তান দুঃসাহসের কল্পনা করলে জবাব দেওয়া হবে। আজকের ভারত আত্মবিশ্বাসী। আত্মনির্ভর হয়েছে। দেশ দেখছে। আমাদের ডিজিএমওকে ফোন করে পাকিস্তান বলে, ব্যাস থামাও, অনেক মেরেছো। আর সহ্য করতে পারছি না। পাক ডিজিএমওর ফোন ছিল। এটা ভারতের নীতি ছিল, যা সেনার সঙ্গে মিলে তৈরি হয়।’’


কংগ্রেসের অভিযোগের জবাবে মোদী বলেন, ‘‘বিদেশনীতি নিয়েও অনেক কথা হয়েছে। দুনিয়ার সমর্থন নিয়েও কথা হল। একটা কথা স্পষ্ট বলছি, দুনিয়ার কোনও দেশ ভারতকে নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে পদক্ষেপ করতে বাধা দেয়নি। ১৯৩টি দেশের মধ্যে মাত্র তিনটি দেশ পাকিস্তানের সমর্থনে বয়ান দেয়। সব দেশ ভারতকে সমর্থন দিয়েছে। দুনিয়ার সমর্থন মিলেছে, কিন্তু দুর্ভাগ্য, বীরদের কংগ্রেসের সমর্থন মেলেনি।" প্রধানমন্ত্রী মোদী দাবি করেন, ভারত যখন কিছু সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন কিছু মানুষ সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে কাঁদছে। তারা নেতিবাচক মনোভাব ছড়াচ্ছে এবং ভারতের বিজয় মেনে নিতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রী মোদীর দাবি, তাঁর সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ গত ১০ বছরে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অত্যন্ত সাহায্য করেছে এবং এটি অপারেশন সিঁদুরে একটি নির্ধারক ভূমিকা পালন করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী দাবি করলেন, তাঁর সরকার সর্বদা সব কিছুর আগে দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এর ফলে সেই সিদ্ধান্তগুলি ফলপ্রসূ হয়েছে।




তবে এ বিষয়ে অস্বীকার করে লাভ নেই, যে গুঞ্জন উঠেছিল ট্রাম্পের বারংবার যুদ্ধ বিরতিতে নিজের হস্তক্ষেপের কথা বলায়, তার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলের অবশ্যই দায়িত্ব বর্তায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তার সঠিক জবাব চাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে। রাহুল গান্ধী সেটাই করেছেন। আর সরকারের তরফে সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রধানমন্ত্রী বাধ্য।

 
 
 

Comments

Rated 0 out of 5 stars.
No ratings yet

Add a rating

Top Stories

প্রতিদিনের খবর এবং বিভিন্ন ফিচার ভিত্তিক লেখা, যেখানে খবরের সত্যতা তথা লেখনীর উৎকৃষ্টতা প্রাধান্য পায়। ফিচার ছাড়াও যে কোনও রকম লেখনী শুধুমাত্র উৎকৃষ্টতার নিরিখে গুরুত্ব পাবে এই সাইটে

Thanks for subscribing!

  • Whatsapp
  • Youtube
  • Instagram
  • Facebook
  • Twitter

The Conveyor

bottom of page