সুরলোকে প্রতুল মুখোপাধ্যায়

কলকাতা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫: বাংলার গান গেয়ে বাংলাকে চিনিয়েছিলেন, বাংলার মানুষকে। তুড়ি মেরে জয় করেছিলেন মানুষের হৃদয়। কোনও যন্ত্রানুষঙ্গ ছাড়াই শুধুমাত্র ‘বডি পারকাশন’ ব্যবহার করে সুরেলা কন্ঠস্বরের জাদু এবং ধারালো লেখনী মন কেড়েছিল আট থেকে আশি সকলের। সকলকে ফাঁকি দিয়ে আজ পাড়ি দিলেন সুরলোকে। সেখানে গিয়েও গান নিয়ে থাকুন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। নব্বইয়ের দশকের হাওয়ায় ভেসে উঠেছিল দৃঢ় কথায় খালি গলায় গাওয়া দৃপ্ত কন্ঠের প্রতুল মুখোপাধ্যায়। বাংলা গানকে ঘিরে তখন অনেক মিথ। প্রতুল ছিলেন সেই কিংবদন্তির অন্যতম চরিত্র।
যদিও বহুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন জনপ্রিয় এই গায়ক। কয়েক দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে সঙ্গীতশিল্পীর সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। শনিবার সকালে প্ৰলোকগমন করেন বর্ষীয়ান এই শিল্পী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। অন্ত্রের অস্ত্রোপচারের পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রবীণ শিল্পী। গত সোমবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায় ITU-তে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল তাঁকে। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলা সঙ্গীত দুনিয়া।
দুপুর ২টো থেকে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য শিল্পীর দেহ রাখা ছিল রবীন্দ্রসদনে। রবীন্দ্রসদনে গান স্যালুটের পর তাঁর দেহ ফের তুলে দেওয়া হয় এসএসকেএম হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে। কারণ, প্রয়াত শিল্পী দেহদানের অঙ্গীকার করে গিয়েছিলেন। রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান ‘বঙ্গবিভূষণ’ থেকে শুরু করে ‘সঙ্গীত সম্মান’, ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’, ‘নজরুল স্মৃতি পুরস্কার’ সবই তিনি পেয়েছেন। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানেই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এসএসকেএমের মেন ব্লকে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তাঁর জন্য গঠিত হয়েছিল মেডিক্যাল বোর্ড। মুখ্যমন্ত্রী নিয়মিত চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন।
Comments