top of page

সবার অলক্ষ্যে বিয়ে করলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র


৫ জুন, ২০২৫: সবার অলক্ষ্যে বিয়েটা সেরে ফেললেন তৃণমূলের চর্চিত সাংসদ মহুয়া মৈত্র। প্যাস্টেল শেড শাড়ি, গয়নায় সেজে বিয়ে করলেন তিনি। পুরীর সঙ্গে জুড়ে গেল কৃষ্ণনগর। মিশ্রের সঙ্গে সংসার পাতলেন মৈত্র। চার হাত এক হল প্রাক্তন ও বর্তমান সাংসদের। মহুয়া মৈত্র বিয়ে করেছেন পিণাকী মিশ্রকে। তিনি বিজু জনতা দলের নেতা এবং পুরীর প্রাক্তন সাংসদ।

ঘুণাক্ষরেও কাউকে জানতে না দিয়ে শুক্রবার জার্মানির বার্লিন প্রাসাদের ছাদে পুরীর প্রাক্তন সাংসদ পিনাকী মিশ্রের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ঘনিষ্ঠদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান। ৬৫ বছরের পিনাকী এবং ৫১ বছরের মহুয়া দু’জনেরই এটি দ্বিতীয় বিবাহ। মহুয়া আদ্যোপান্ত রাজনীতিবিদ। স্বামী পিনাকী মিশ্রও রাজনীতিক, তিনি পেশায় আইনজীবী। বন্ধুত্ব গত কয়েক বছরের। ঘনিষ্ঠেরা জানতেনও, চার হাত এক হবে। ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ নতুন নয়। কিন্তু দুই দেশজ রাজনীতিকের এ হেন বিবাহ দেশে বিরল। যদিও একে সে ভাবে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ বলা যায় না। ভিড়ভাট্টা এড়াতেই বার্লিন বেছে নেওয়া বলে জানাচ্ছে যুগলের ঘনিষ্ঠমহল। আপাতত পিনাকী-মহুয়া ইউরোপে মধুচন্দ্রিমা যাপনে ব্যস্ত।

যদিও তিনি যে পিনাকীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন, তা তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন মহুয়া। তাঁর কাছ থেকে ‘ছুটি’ নিয়েই তিনি বিবাহ উপলক্ষে বিদেশে যান। জুন মাসের শেষে পিনাকী এবং মহুয়ার দেশে ফেরার কথা। জানা গিয়েছে, পেশায় আইনজীবী পিণাকী মিশ্র এর আগে মহুয়া মৈত্রের হয়ে মামলা লড়েছিলেন। যখন মহুয়াকে সাংসদ বাংলো খালি করর নোটিশ ধরানো হয়েছিল। তখনও মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পিণাকী। তৃণমূল সাংসদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেছিলেন এই বিজেডি নেতা।

চাকরিজীবনে ইতি ঘটিয়ে প্রথমে কংগ্রেসে যোগ দেন মহুয়া। রাহুল গাঁধীর বিশ্বস্তও ছিলেন। ২০১০ সালে তৃণমূলে যোগ। ২০১৬ সালে প্রথম করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হন। মহুয়াকে তার পরে সংসদে পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ এবং ২০২৪, পর পর দু’বার কৃষ্ণনগর থেকে নির্বাচিত হন মহুয়া। বর্তমানে তিনি কৃষ্ণনগরের সাংসদ। অন্যদিকে, পিনাকি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। ১৯৯৬ সালে প্রথম বার তিনি কংগ্রেসের টিকিটে পুরী থেকে জয়ী হয়েছিলেন। পরে নবীন পট্টনায়েকের BJD-তে যোগ দেন। ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পর পর তিন বার সাংসদ নির্বাচিত হন।

 
 
 

Comentarios

Obtuvo 0 de 5 estrellas.
Aún no hay calificaciones

Agrega una calificación

Top Stories

প্রতিদিনের খবর এবং বিভিন্ন ফিচার ভিত্তিক লেখা, যেখানে খবরের সত্যতা তথা লেখনীর উৎকৃষ্টতা প্রাধান্য পায়। ফিচার ছাড়াও যে কোনও রকম লেখনী শুধুমাত্র উৎকৃষ্টতার নিরিখে গুরুত্ব পাবে এই সাইটে

Thanks for subscribing!

  • Whatsapp
  • Youtube
  • Instagram
  • Facebook
  • Twitter

The Conveyor

bottom of page