top of page

সন্দীপের সদস্যপদ কেড়ে নিল আইএমএ, বিজেপির ডাকা বনধ-এ বিক্ষিপ্ত অশান্তি, মেয়ো রোডে একযোগ সিবিআইকে আক্রমণ শানালেন মমতা- অভিষেক




কলকাতা, ২৮ অগাস্ট, ২০২৪: সন্দীপ ঘোষের আইএমএর সদস্যপদ খারিজ করা হল। ডিসিপ্লিনারি কমিটি তাঁর সদস্যপদ খারিজ করে দিয়েছে। আইএমএর সদর দফতর সকলের সম্মতিতে সন্দীপের সদস্যপদ খারিজ করেছে। আইএমএ কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন সন্দীপ। একেবারে পদ থেকে শুধু নয়, সদস্যপদও কেড়ে নিল আইএমএ।

বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধের ডাক দেয় বিজেপি। মঙ্গলবার ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ তুলে সকাল ৬টা থেকে বন্‌ধ ডাকা হয়েছিল। বিজেপির ডাকা বন্‌ধের জেরে সকাল থেকেই জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত গোলমালের ছবি উঠে এসেছে। বেলা বাড়তে তা বড় আকার ধারণ করেছে।

সকাল থেকে ট্রেন চলাচল ব্যাহত ছিল শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখায়। লক্ষ্মীকান্তপুর শাখার একাধিক স্টেশনে ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলেন বন্‌ধ সমর্থকেরা। ব্যাহত হয় পরিষেবা। বন্‌ধের জেরে চরমে ওঠে যাত্রীভোগান্তি। ট্রেন না পেয়ে অনেকেই সড়কপথে রওনা দেন গন্তব্যে। সকালে উত্তেজনা ছড়ায় বালুরঘাট সরকারি বাসস্ট্যান্ডের সামনে। মাথাভাঙা-কোচবিহার রাজ্য সড়কে এনবিএসটিসির বাসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে বন্‌ধ সমর্থকদের বিরুদ্ধে। রাস্তায় বাস-গাড়ি আটকানোর অভিযোগও উঠেছে। বন্‌ধের সকালে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় গুলিও চলে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ভাটপাড়ার ঘোষপাড়া এলাকায়। ঘটনায় একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমা-গুলি চালানোর অভিযোগ তোলেন।

জেলায় জেলায় বিজেপির ডাকা বন্‌ধকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখা গেলেও কলকাতায় পরিস্থিতি তুলনামূলক ভাবে শান্ত ছিল। দু’-এক জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তি ছড়ালেও যান চলাচল ছিল মোটামুটি স্বাভাবিক। মেট্রোও চলছে নিয়ম মেনে। অফিস-কাছারি, দোকানপাটও মোটামুটি খোলাই ছিল।

বুধবার ধর্মতলার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে একযোগ সিবিআইকে আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে অভিষেক প্রশ্ন তুললেন, কেন সন্দীপ ঘোষকে এখনও সিবিআই গ্রেফতার করছে না, পাশাপাশি সরাসরি গত ১৪ অগস্ট রাতে মহিলাদের রাত দখল কর্মসূচিকে ‘সম্মান’ জানালেন। আরজি কর-কাণ্ডের পর বুধবার ছিল তৃণমূলের সবচেয়ে বড় জমায়েত। আগেই ধর্ষণের মতো অপরাধের জন্য কঠোরতম আইন আনা এবং চূড়ান্ত শাস্তির পক্ষে দাবি জানিয়েছিলেন অভিষেক। যথেষ্ট ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ এবং ‘অর্থবহ’ ছিল তাঁর বলা বক্তব্য।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে আজ ছিল প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারির সুর। তিনি আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে আজ বলেন, "আমরা যদি এফআইআর করি বা কোনও আইনি ব্যবস্থা নিই, তা হলে আপনাদের কেরিয়ারটা নষ্ট হয়ে যাবে। ভিসা, পাসপোর্টে অসুবিধা হয়ে যাবে। আমি তা চাই না। আমি চাই আরও ভাল ভাল ডাক্তার তৈরি করতে"। সভা শেষ হতে না হতেই মিছিল থেকে পাল্টা জুনিয়র ডাক্তারেরা বলেছেন, তাঁদের যেন এফআইআরের ভয় না দেখানো হয়! আন্দোলন চলবে। কিন্তু সার্বিক ভাবে এর কী প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে, তা নিয়ে অনেকেই উদ্বেগে। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলের অনেকের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে চিকিৎসকদের মধ্যে ‘বিরূপ প্রতিক্রিয়া’ তৈরি করার সম্ভাবনা রয়েছে। যা সামগ্রিক ভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে।

এদিকে বিজেপির বাংলা বনধের বিরুদ্ধে দায়ের জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে সঞ্জয় দাস নামে মামলাকারী আইনজীবী ভবিষ্যতে কোনও জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।পাশাপাশি তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে আদালতের তরফে। এদিন মামলাটি খারিজ করে মামলাকারীকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন প্রধান বিচারপতি।

Comentários

Avaliado com 0 de 5 estrelas.
Ainda sem avaliações

Adicione uma avaliação

Top Stories

bottom of page