লীলাবতী হাসপাতালে আর্থিক অনিয়ম এবং কালা জাদুর অভিযোগ ঘিরে শোরগোল
- The Conveyor
- Mar 12
- 2 min read

মুম্বই, ১২ মার্চ, ২০২৫: মুম্বইয়ের বিখ্যাত লীলাবতী হাসপাতালে কালা জাদুর অভিযোগ। হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে সম্প্রতি পাওয়া গিয়েছে মানুষের মাথার খুলি, হাড়, চুল এবং চাল। অভিযোগ তুলেছেন হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের (পরিচালন কমিটি) বর্তমান সদস্যেরা। বিখ্যাত একটি হাসপাতালের এমন ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
হাসপাতালের ট্রাস্টি প্রশান্ত মেহতার দাবি, হাসপাতালের অফিসের মেঝের নিচে থেকে কালা জাদুর উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত মানুষের মাথার খুলি, হাড়, চুল এবং চাল পাওয়া গিয়েছে। আটটি কলসির মধ্যে এগুলি রাখা ছিল। এছাড়াও মুম্বইয়ের ওই হাসপাতালে পরিচালন কমিটির পুরনো সদস্যেরা আর্থিক নয়ছয় করেছেন বলে অভিযোগ বর্তমান সদস্যদের। হাসপাতালের তহবিল থেকে ১২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। মঙ্গলবার রাতেই এই সংক্রান্ত অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে।
হাসপাতালের পরিচালন কমিটির প্রাক্তন সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশ এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বর্তমান সদস্যেরা। এখনও পর্যন্ত তিনটি এফআইআর রুজু করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ‘কালো জাদু’ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ জানানো হয়েছে বান্দ্রা থানায়। মেহতার আশঙ্কা কালা জাদুর অংশ হিসেবে নরবলির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে মুম্বইয়ে। মেহতার বক্তব্য অনুযায়ী, বিষয়টি হাসপাতালের কিছু কর্মী তাঁর নজরে আনেন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। তিনি হাসপাতালের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে অফিসের মেঝে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেটি ভাঙার পরেই এইসব জিনিসপত্র দেখতে পান। যা দেখে সকলে হতবাক। মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরম বীর সিং বর্তমানে লীলাবতী হাসপাতালের কার্যকরী পরিচালক। তিনিও এই দাবি সমর্থন করেছেন।
পাশাপাশি মুম্বইয়ের ওই হাসপাতালের আর্থিক নথিপত্রের সম্প্রতি অডিট করা হয়। সেই সময়েই হাসপাতালের তহবিলে নয়ছয়ের ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে বলে দাবি পরিচালন কমিটির বর্তমান সদস্যদের। হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর মেহতার ভাই বিজয় মেহতা এবং তাঁর আত্মীয়রা ২০০২ সালে কিশোর মেহতার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে নথি এবং সই জাল করে কিশোরকে পরিচালন কমিটির স্থায়ী সদস্য থেকে বাদ দেন। শুধু তাই নয়, নিজের সন্তান এবং ভাইপোদের পরিচালন কমিটির সদস্য হিসাবে তিনি যুক্ত করেন বলে অভিযোগ। পরে আইনি লড়াইয়ের পরে ২০১৬ সালে পুনরায় পরিচালন কমিটিতে নিজের স্থান ফিরে পান কিশোর। গত বছরে কিশোরের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র প্রশান্ত পরিচালন কমিটির স্থায়ী সদস্য হন। তিনি দায়িত্বে আসার পরে হাসপাতালের তহবিলের অডিট করান।
Comments