লাদাখের এলএসি থেকে প্রত্যাহার পর্ব শেষ করল ভারত ও চিনা সেনা, দেওয়ালিতে মিষ্টি বিনিময়

৩০ অক্টোবর, ২০২৪: রাশিয়ায় ব্রিকস সম্মেলনের মাঝেই মুখোমুখি বসেছিলেন ভারত ও চিনের রাষ্ট্রনেতারা। সেখানেই লাদাখ নিয়ে কথা হয়। তার ফলস্বরূপ পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখা (এলএসি)-র বিতর্কিত অঞ্চলগুলিতে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছোনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট)-র কাজ শেষ করেছে ভারতীয় এবং চিনা সেনা। বুধবার সেনার তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। এবার সেখানে দুই দেশের পরিকল্পনামাফিক টহলের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে খবর। দেওয়ালিতে শুভেচ্ছার নজির তৈরি করতে বৃহস্পতিবার এলএসিতে দুই সেনার মধ্যে মিষ্টি বিনিময় হতে পারে বলেও সেনা সূত্রের খবর।
ভারত একটি নির্দিষ্ট সময়ে টহল দেবে, পাশাপাশি চিনও তার নির্দিষ্ট সময়ে এলাকায় টহল দেবে। আর এই টহলদারি দুই দেশের পরিকল্পনায় চলবে। দুই পক্ষের বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে এই টহলদারি চলবে। গত ২১ অক্টোবর ভারত ও চিন দুই দেশ সামান্তের উত্তেজনা কমানোর পথে সহমত পোষণ করে। তার পর রাশিয়ায় কাজানে ব্রিকস বৈঠকের সময় এই বিষয় নিয়ে পার্শ্ববৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বার্তা দেন তাঁরা। সেই মতো এবার লাদাখের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে দুই দেশের সেনা সরানো হল।
আমেরিকার ম্যাক্সার টেকনোলজির নেওয়া সাম্প্রতিক উপগ্রহচিত্রে স্পষ্ট, ডেপসাং ও ডেমচক এলাকায় বিভিন্ন অস্থায়ী সেনাছাউনি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে প্যাংগং হ্রদের উত্তর তীরের বিতর্কিত ফিঙ্গার এরিয়া সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। জানা গিয়েছে, পেট্রোলিং সম্পর্কে দুই দেশের সেনার গ্রাউন্ড কমান্ডাররা সিদ্ধান্ত নেবেন। এই গ্রাউন্ড কমান্ডার হিসাবে ব্রিগেডিয়ার বা তাঁর নিচু পদের কেউ থাকতে পারেন।
Comentarios