'রেলওয়ে ড্রাইভার অ্য়াসিসট্যান্স সিস্টেম' আসতে চলেছে এনএফআর- এর মাধ্যমে, চালকদের ঘুম পেলে জাগিয়ে দেবে

১১ সেপ্টেম্বর: বর্তমান সময়ে প্রায় রোজই ট্রেন দুর্ঘটনার খবর আমাদের নজরে আসে। কিছু ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, অতিরিক্ত চাপের বোঝা সৈতে না পেরে ড্রাইভারের অসতর্কতায় ট্রেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে। এমন ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে তার ব্যবস্থা করতে এগিয়ে এল নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে। ক্লান্ত হয়ে যদি কোনওভাবে চালকদের ঢুলুনি আসে বা ঘুম ঘুম পাচ্ছে বলে বুঝতে পারে যন্ত্র তবে তক্ষুনি সতর্ক করে দেবে একটি বিশেষ যন্ত্র। আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে এই যন্ত্র।
গত জুন মাসে রেলওয়ে বোর্ড এনএফআরকে এই ধরনের যন্ত্র তৈরির ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছিল। ট্রেন চালকদের সতর্কতার উপর নির্ভর করে এত বিপুল সংখ্যক যাত্রীর প্রাণ। ট্রেন চালকের যদি ঝিমুনি আসে তাহলে বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সির মাধ্যমে যন্ত্র তৈরি করে রেলওয়ে ট্র্যাকে হাতির মৃত্যু প্রায় শূন্যে নিয়ে এসেছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। সেই ব্যাপারটিকে মাথায় রেখেই এবারে গোটা রেলওয়ে সিস্টেমের জন্য এমন একটি যন্ত্র তৈরির নির্দেশ দিয়েছিযে রেল বোর্ড।

এই নয়া ডিভাইসের নাম রেলওয়ে ড্রাইভার অ্য়াসিসট্যান্স সিস্টেম (Railway Driver Assistance System)। সূত্রের খবর, চালকদের কোনওভাবে ঝিমুনি আসছে কি না সেটা খেয়াল রাখবে এই যন্ত্র। ঢুলুনি এলেই অ্য়ালার্ম বাজিয়ে দেবে এই ডিভাইস। সেই সঙ্গেই এমার্জেন্সি ব্রেকও চেপে ধরা হবে। তবে আপাতত এই ডিভাইস প্রাথমিকস্তরে রয়েছে। তবে একবার এই যন্ত্র পুরোপুরি তৈরি হলে সেটার মহড়া করা হবে। এরপর সেটা প্রয়োগ করা হবে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্য়ে এনএফআর রেলের টেকনিকাল টিম এই ডিভাইস তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে।
সূত্রের খবর, গত ২ অগস্ট রেলওয়ে বোর্ড এনএফআরকে চিঠি দিয়েছিল, মূলত ডিভাইসটি যাতে উন্নত করা যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য। প্রাথমিকভাবে ২০টি মালগাড়িতে এই ধরনের ডিভাইস যুক্ত করা হবে। এরপর দেখা হবে এটা কেমন কাজ করছে। যদি এই প্রকল্প সফল হয় তবে একে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ইঞ্জিন সহ বিভিন্ন ট্রেনে লাগু করা হবে।
Comentarios