'রেমাল' এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলবর্তী অঞ্চল, সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, হালকা বৃষ্টি চলবে ক'দিন
কলকাতা, ২৭ মে, ২০২৪: রবিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়েছিল প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সাগরদ্বীপ এবং খেপুপাড়ার মধ্যবর্তী অংশে বাংলাদেশের মোংলার কাছ থেকে ঝড় স্থলভাগে প্রবেশ করেছিল। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলেছিল ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায়।
ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশ। বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা গিয়েছে একাধিক জেলায়। বিদ্যুতের পোস্ট, ট্রান্সফরমার, ওভারহেড মেন লাইনের তার ছিঁড়ে ক্ষতি হয়েছে একাধিক জেলায়। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ছ’জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। কারও মাথায় গাছ পড়ে, তো কারও মাথায় বাড়ির কার্নিস ভেঙে, কেউ আবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। বিদ্যুতের তার বা পোস্টের উপর গাছের ডাল পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি অনেক জায়গায় জল জমে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। তবে রিমেলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নিরলস কাজের জন্য বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী এবং আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানান বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তুমুল বৃষ্টির কারণে পার্কস্ট্রিট ও এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের মধ্যবর্তী ট্র্যাকে জল জমে সোমবার দীর্ঘক্ষণ কাটা সার্ভিস চালাতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। পাম্পের সাহায্যে ট্র্যাকে জমে থাকা জল সরাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মেট্রোর আধিকারিক ও কর্মীরা। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়।
রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, রাজ্য প্রশাসনের তরফে আর্থিক সহায়তা মৃতদের পরিবারের কাছে পৌঁছে যাবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রশাসনের ভূমিকায় খুশি মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি উঠে গেলে সরকার এই সব বিষয়ে আরও গুরুত্ব দিয়ে পুরোটা বিবেচনা করবে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে আজ সোমবার সারাদিনই বৃষ্টি চলেছে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র। মঙ্গলবারও বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর, তবে কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি। বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সব জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। রবিবার আবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
Commentaires