top of page

রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদের সাক্ষী রইল স্বাধীনতার রাত

Writer's picture: The ConveyorThe Conveyor



কলকাতা, ১৫ অগাস্ট, ২০২৪: ১৪ অগস্ট ২০২৪ রাতে কলকাতা সহ বাংলার নানান শহরে আয়োজিত হল ‘মেয়েরা রাত দখল করো’। স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে ১১.৫৫ মিনিট থেকে কলকাতায়, যাদবপুর, অ্যাকাডেমি চত্বর, কলেজ স্ট্রিট সহ বাংলার নানান জায়গায় থেকে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে হল জমায়েত। কলকাতায় বেহালার শখেরবাজারে প্রতিবাদীদের ঢল নেমেছিল। শখেরবাজার মোড়ে রাত প্রায় ১০টা থেকেই মানুষ জড়ো হতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে তা বিশালাকার ধারণ করে। রাত ঠিক ১১.৫৬ য় জমায়েত এগোতে শুরু করে। সকলের প্রতিবাদের ভাষা ছিল নজর কাড়ার মত। যে যার মত হাতে প্ল্যাকার্ড, পোস্টার, মোমবাতি, মোবাইল টর্চ, শাঁখ নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে হাজির হয়েছিলেন এই রাতে। স্বতঃস্ফূর্ত এই আবেগ মানুষের একতাকেই মনে করলো আজ।

ছিল নেহাতই ‘প্রতীকী’ আন্দোলনের আহ্বান। সীমিত ছিল কলকাতার মাত্র তিন জায়গায়। কিন্তু গত কয়েক ঘণ্টায় ক্রমশ গোটা পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্র জুড়ে বিস্তৃত হতে শুরু করেছে দলহীন এবং পতাকাহীন সেই আন্দোলন। ইন্টারনেট জুড়ে ‘মেয়েরা রাত দখল করো’র ডাক ভাইরাল হতে বিন্দুমাত্র সময় নেয়নি।

ব্যস্ত শহরের বুকে, রাতের বেলা, নিজের চেনা পরিসরের মধ্যে এক মহিলা চিকিৎসকের নারকীয় হত্যা গোটা বাংলাকে শোকগ্রস্ত করেছে। এই অমানবিক ঘটনার শুধু প্রতিবাদই নয়, প্রশ্নও তুলছে মানুষ। মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের কাছে। চারদিক থেকে দাবি উঠছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।





পোশাকি নাম ‘রিক্লেম দ্য নাইট’। বাংলায়, ‘মেয়েরা রাতের দখল নাও’। ১৯৭৫ সালে আমেরিকার ফিলাডেলফিয়া শহরে জনৈক মাইক্রো বায়োলজিস্টকে খুনের ঘটনায় ওই আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তার পরে নানা ঘটনায় দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে এই আন্দোলনে পথে নেমেছেন মেয়েরা। ইংল্যান্ডের পূর্ব ইয়র্করশায়ারের লিডসে এটি শুরু হয়। মিছিল থেকে সেবার দাবি উঠে ছিল, পাবলিক প্লেসে মহিলারা যাতে রাতে চলাফেরা করতে সক্ষম হন, তার স্বীকৃতি পেতে হবে। ‘রিক্লেম দ্য নাইট’ কার্যত একটি আন্দোলনের নাম। এই আন্দোলন ১৯৭৭ সালের পরও ১৯৮০, ১৯৯০, ২০০০ সালেও শোনা গিয়েছে। দিল্লির ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় কয়েক বার ওই নামে আন্দোলনও হয়েছিল। ২০১২ সালের শেষ রাতেও অ্যাকাডেমির সামনে মেয়েরা ওই ডাক দিয়ে পথে নেমেছিলেন। এখন আরজি করের ঘটনার প্রেক্ষিতেও সেই আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রথম যে পোস্টারটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, তাতে স্বাধীনতা দিবসের আগে, অর্থাৎ ১৪ অগস্ট (বুধবার) রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে কলেজ স্ট্রিট, অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস এবং যাদবপুর এইটবি বাস স্ট্যান্ড- এ মেয়েদের রাস্তায় নামার আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু সোমবার রাত থেকেই সেটি অন্য মাত্রা পেতে শুরু করে। মঙ্গলবার তা গোটা বাংলার মানচিত্র জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে দক্ষিণবঙ্গের বৃহত্তর কলকাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলা শহর এবং মফস্বলে ছড়িয়ে পড়েছে।

Comentários

Avaliado com 0 de 5 estrelas.
Ainda sem avaliações

Adicione uma avaliação

Top Stories

bottom of page