মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে ভাড়াটে গুন্ডা লাগিয়ে স্ত্রীই খুন করেন নিজের সদ্য বিবাহিত স্বামীকে!
- The Conveyor
- 4 days ago
- 2 min read

৯ জুন, ২০২৫: মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে তরুণ খুন হন। প্রথমে মেঘালয়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনের জন্য সাধারণ দুর্ঘটনার একটা ব্যাপার মনে হয়েছিল। কিন্তু যত দিন এগিয়েছে, ততই এই খুনের পেছনে কিছু একটা রহস্য রয়েছে, তাই সামনে এসেছে। আজ যা দেখলাম আমরা, তা এক কথায় চমকে দেওয়ার মত ঘটনা। ১১ দিন পরে উদ্ধার হলো স্বামীর দেহ। আর স্ত্রী নিখোঁজ। পরিত্যক্ত স্কুটার, শার্ট, রক্তের দাগ লাগা রেনকোট যখন ইঙ্গিত দিচ্ছিল গুরুতর কোনও অঘটনের, তখন গল্পে ফের নয়া মোচড়। সোমবার, ৯ জুন, স্বামী রাজা রঘুবংশী খুনে মাস্টারমাইন্ড হিসাবে গ্রেপ্তার হলেন নববধূ সোনম রাজবংশী। অভিযোগ, ভাড়াটে খুনি লাগিয়ে স্বামীকে খুন করেছেন সোনম।
মেঘালয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছিল রাজা রঘুবংশীকে। তাঁর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতেই স্পষ্ট হলো, কী ভাবে মৃত্যু হয়েছিল ইন্দোরের সদ্যবিবাহিত ব্যবসায়ীর। নিখোঁজ হওয়ার ১১ দিন পরে স্বামী রাজা রঘুবংশীর দেহ জলপ্রপাতের গিরিখাত থেকে মিললেও কোনও ভাবে খোঁজ মিলছিল না সোনমের। ড্রোন উড়িয়ে, স্নিফার ডগ নামিয়েও কোনও সূত্র খুঁজে পাচ্ছিল না বিশেষ তদন্তকারী দল। মেঘালয়ে হনিমুনে গিয়ে নিখোঁজ ইন্দোরের দম্পতির খোঁজে জড়িয়ে পড়ে দুই রাজ্যের প্রশাসন: মেঘালয় এবং উত্তরপ্রদেশ। মেঘালয়ে ঘুরতে যাওয়ার পর আচমকা দম্পতির সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে গেলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন ইন্দোরের প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর পরিবার। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে রাজাকে মেঘালয় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনিই। সেখানেই পথের কাঁটা দূর করতে ভাড়াটে খুনি লাগিয়ে তাঁকে খুন করানো হয়। এই খুনে যুক্ত সন্দেহে সোনমের প্রেমিক-সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১৭ দিন পর রাজা হত্যারহস্য সম্পূর্ণ অন্য দিকে মোড় নেয়। খোঁজ মেলে সোনমের। রাজাকে খুনের দায় স্বীকার করে উত্তরপ্রদেশে আত্মসমর্পণ করেন সোনম। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের নন্দগঞ্জ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন সোনম। রাজাকে খুন করতেই মধুচন্দ্রিমায় পাহাড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনম। মধুচন্দ্রিমার জন্য বেছে নিয়েছিলেন দেশের অন্য প্রান্তের একটি রাজ্যকে। পুলিশ তদন্তে জেনেছে যে, বিয়ের আগে রাজ কুশওয়াহা নামে এক যুবকের সঙ্গে সোনমের প্রেম ছিল। প্রেমের পথ থেকে রাজাকে সরিয়ে দিতে মধুচন্দ্রিমায় শিলং গিয়েছিলেন তাঁরা।
এদিকে রাজা রঘুবংশীর মা উমা রাজবংশী জানিয়েছেন, সোনম ট্রিপের জন্য় টিকিট বুক করেছিল। রাজার মা জানিয়েছেন, তারা গত বছরেও শিলংয়ে গিয়েছিলেন। সমস্ত সোনার অলঙ্কার পরে ওই দম্পতি মেঘালয়ে গিয়েছিল। সোনম তার বাবা মায়ের বাড়ি থেকে সরাসরি এয়ারপোর্টে চলে যান। রাজা প্রায় ১০ লাখ টাকার সোনার অলঙ্কার পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তার মধ্যে ডায়মন্ডের আংটি, গলার হার, ব্রেসলেট ছিল। মা তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন কেন এত টাকার জিনিসপত্র পরে যাচ্ছ? এত অলঙ্কার কেন পরছ? সেই প্রশ্নের উত্তরে রাজা বলেছিল সোনিয়া পরে যেতে বলেছে!
コメント