মহালয়ায় মহামিছিল, মহাসমাবেশ, রবিবার ‘পাড়ায় থাকছি একসাথে, উৎসবে নয় প্রতিবাদে’
কলকাতা, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪: দু’টি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর এবং ২ অক্টোবর তাঁদের কর্মসূচি রয়েছে। ২ তারিখ মহালয়া। সে দিন তাঁরা মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন। তার পর ধর্মতলায় মহাসমাবেশ হবে। দুপুর ১টা থেকে এই কর্মসূচি রয়েছে মহালয়ার দিন। ২৯ সেপ্টেম্বরের কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘পাড়ায় থাকছি একসাথে, উৎসবে নয় প্রতিবাদে’। ওই দিন বিচারের দাবিতে রাজপথ থেকে অলিগলি ভরানোর জন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।
আরজি কর মেডিকেল কলেজের ঘটনার বিচার চেয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে জুনিয়র চিকিৎসকদের গণ কনভেনশন ছিল শুক্রবার। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর ফোরামের ডাকে এসএসকেএম হাসপাতালের সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয় এই কনভেনশন। সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট’- এর তরফে।
"সকল জায়গায় একই স্বর, জাস্টিক ফর আর জি কর' এই স্লোগান নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় পথে থাকার আর্জি জানাচ্ছি মানুষদের। সকলে ওই ২৯ তারিখ সন্ধ্যায় প্রতিবাদ করুন নিজেদের মত করে নিজের এলাকায় মিছিল ও সমাবেশ করে।" কনভেনশনে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন ডাক্তারদের। পাশাপাশি জানানো হয়, "আগামী ২ তারিখ মহালয়ার দিন অভয়ার বিচার পেতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্র-সহ সকল ক্ষেত্রে ভয়ের পরিবেশ থেকে মুক্তি পেয়ে ধর্মতলায় মহাসমাবেশ করার ডাক দিচ্ছি। তার আগে হবে মহা মিছিল। সকল ক্ষেত্রের মানুষকে ডাক দিচ্ছি। উৎসবের মধ্যেও ভুলছি না বিচারের দাবি। মহামিছিল ও মহাসমাবেশ থাকবে মহালয়ার দিন ধর্মতলায় দুপুর একটায়।"
প্রবীণ চিকিৎসক, বিশিষ্ট অভিনেতা, পরিচালক থেকে আইটিকর্মী, মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদেরও ডাকা হয়েছিল এদিন। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রিক্সা চালকেরা বিচারের দাবিতে মিছিল করেছিলেন, তাঁদেরও। উপস্থিত ছিলেন এসএসকেএমের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজকর্মী মিরাতুন নাহার, চিত্র পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলি, মীর, সমাজকর্মী বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত, সঙ্গীতশিল্পী অন্বেষা দত্ত প্রমুখ। রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ জানালেন তিনি। গাইলেন অরিজিৎ সিংহের ‘আর কবে’ও।
আরজি করে নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তি রাখা হবে বলে প্রস্তাব করা হল গণ কনভেনশনে। ২ অক্টোবর রাখা হতে পারে মূর্তি। নির্যাতিতার প্রতীক হিসাবে যন্ত্রণাদীর্ণ নারীমূর্তি রাখা হবে হাসপাতাল চত্বরে।
Comments