মন্দারমণিতে হোটেল ভাঙার গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
কলকাতা, ২২ নভেম্বর, ২০২৪: মন্দারমণিতে ১৪০টি হোটেল ভাঙার গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতির নির্দেশ আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই স্থগিতাদেশ থাকবে। ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
গত ১১ নভেম্বর মন্দারমণির ‘অবৈধ’ হোটেল-লজগুলি ভেঙে ফেলার যে নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন, শুক্রবার তাতেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি অমৃতা সিংহর বেঞ্চ। প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০২২ সালে এই বেআইনি হোটেলগুলি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। কারণ, হোটেলগুলি উপকূল বিধি না-মেনেই গড়ে উঠেছিল। এর মধ্যে শুধু দাদনপাত্রবাড়েই রয়েছে ৫০টি হোটেল, সংলগ্ন সোনামুইয়ে ৩৬টি, সিলামপুরে ২৭টি, মন্দারমণিতে ৩০টি হোটেল এবং দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর মৌজায় একটি লজ রয়েছে। এ সবই ভাঙা পড়ার কথা।
এদিন বিচারপতি বলেন, কোন হোটেল বৈধ আর কোন হোটেল অবৈধ তার সমীক্ষা হওয়া দরকার। হোটেল মালিকদের পক্ষে সওয়াল করে কল্যাণবাবু বলেন, ‘এই ট্রাইব্যুনালেই আইনি সমস্যা রয়েছে। প্রসঙ্গত মন্দারমণি সৈকতের ১৪০টি হোটেলকে বেআইনি বলে চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। ২০ নভেম্বর হোটেলগুলি ভাঙার শেষ দিন ছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত হোটেল ভাঙার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসে প্রশাসন।
মন্দারমণি এবং সংলগ্ন এলাকার সৈকতে যে হোটেলগুলি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন, তা কার্যত নবান্নকে অন্ধকারে রেখেই করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। বাংলায় বুলডোজার চলবেনা বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই অবশেষে এই সিদ্ধান্তই বহাল থাকল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন, লোকসভা ভোটের ফলাফল বেরোনোর অব্যবহিত পরেই যে ফুটপাথের দোকানগুলি ভাঙা পড়ল, তাও আবার বিনা নোটিশে, তার বেলা বুলডোজার নীতি প্রদর্শন করা হল কেন? গরিব মানুষগুলো কেন নিমেষেই চোখে অন্ধকার দেখল? সেই সময় আর একটু মানবিক হলে, একটু আগে থেকে জানিয়ে কাজ করলে অনেকেই নিজেদের গুছিয়ে নেবার সময় পেত। পরে যদিও সেই মতই কাজ হয়েছে, কিন্তু প্রথম ধাপে যে দোকানগুলো ভাঙা পড়েছিল, তাদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী বলবেন?
Comentarios