বিশ্ব নাট্য দিবস- ২০২৫, "থিয়েটার এবং শান্তির সংস্কৃতি"
- The Conveyor
- Mar 27
- 2 min read

কলকাতা, ২৭ মার্চ, ২০২৫: বিশ্ব নাট্য দিবস দিনটি থিয়েটার শিল্পের সারমর্ম, সৌন্দর্য এবং গুরুত্ব, বিনোদনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং জীবনে থিয়েটারের প্রতীকী প্রভাব উদযাপন করে। ১৯৬১ সালে আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট (ITI) দ্বারা পুরো বিষয়টি মনোনীত করা হয়েছিল। প্রতি বছর ২৭শে মার্চ বিশ্বজুড়ে এটি একটি আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালিত হয়। ২০২৫ সালের বিশ্ব থিয়েটার দিবসের থিম হল "থিয়েটার এবং শান্তির সংস্কৃতি"।
বিশ্ব নাট্যচর্চা দিবস আমাদের বিভিন্ন ধরণের নাট্যচর্চা উদযাপন করার এবং আমাদের সমাজে তাদের তাৎপর্য উপলব্ধি করার সুযোগ করে দেয়। নাটক শুধুমাত্র কোনও গল্পকে অভিনয়ের মাধ্যমে জনসাধারণের সামনে পরিবেশিত করেনা। নাটকের নিজস্ব একটি ধারা আছে। বক্তব্য আছে। আর্তি আছে। যা সমাজকে পরিচালন করার শক্তি রাখে। সমাজের, রাষ্ট্রের, বিশ্বের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রেক্ষাপট নিয়ে প্রশ্ন তোলে। মানুষে মানুষে সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে বিশ্লেষণ করে। নাটকের মাধ্যমে জীবনের সেরা শিক্ষা লাভ করা যায়। কখনও অবদমিতের স্বর, কখনও বা রাজনৈতিক-সামাজিক, প্রতিবাদ-প্রতিরোধের প্রতীকী হয়ে উঠেছে থিয়েটার। সবচেয়ে প্রাচীন এই মাধ্যমটি যেমন বিনোদন দেয়, পাশাপাশি সমাজ সচেতন করে তোলে সাধারণ মানুষদের।

ঋকবেদের সময়কাল থেকেই ভারতের পোশাক, সংস্কৃতিতে নাটকের ছাপ মেলে। এগুলি ছিল মূলত নাটকের আদিরূপ।মনে করা হয়ে, ব্রহ্মার নির্দেশে ভরত ঋকবেদ থেকে কথা, সামবেদ থেকে গান, যজুর্বেদ থেকে পাঠ এবং অথর্ববেদ থেকে রস নিয়ে পঞ্চম বেদ হিসেবে ‘নাট্যবেদ’ প্রণয়ন করেন। তবে নাটকের উদ্ভব সম্পর্কে ভারতবর্ষের প্রচলিত মিথ। মনে করা হয় খ্রিস্ট-জন্মের সময় থেকেই ভারতবর্ষে নাটকের প্রচলন। তবে মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র, গিরিশচন্দ্র ঘোষসহ অনেকের শৈলীতেই শেক্সপিয়রের প্রভাব লক্ষ করা যায়। যত সময় এগিয়েছে, ততই থিয়েটার নিজেকে যুগোপযোগী করে তুলেছে। তাই যে কোনও সময়ে নাটকের মূল্য অপরিসীম।
এই কথা মাথায় রেখেই একটি বিশেষ দিন ধার্য করা হয়েছে নাট্য চর্চাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য। সারা বিশ্ব আজকের দিনে দিবসটি পালন করে। একটি প্রভাবশালী শিল্পমাধ্যম হিসাবে থিয়েটারের গুরুত্ব তুলে ধরাই ছিল এই দিনটির মূল উদ্দেশ্য। প্রতি বছর আইটিআই থেকে একজন স্বনামধন্য নাট্য ব্যক্তিত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। শিল্পীর অভিমত, অভিজ্ঞতা, এবং বর্তমান নাট্যচর্চার ভবিষ্যত ইত্যাদি বিষয় থাকে আলোচনার কেন্দ্রে। এ বছর বিশিষ্ট গ্রিক নাট্য পরিচালক, শিক্ষাবিদ এবং লেখক থিওডোরোস টেরজোপোলোসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। একই দিনে ১৯৬২ সালে প্যারিসে ''থিয়েটার অফ নেশনস' উৎসবের সূত্রপাত হয়। প্ৰথমে হেলসিঙ্কি এবং তারপর ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে ১৯৬১ সালে এই দিনটি উদযাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
Comments