বেশি নম্বর দেওয়ার অভিযোগে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা যায় না- আদালতে যুক্তি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের
- The Conveyor
- May 20
- 1 min read

কলকাতা, ২০ মে, ২০২৫: মঙ্গলবার প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় প্রাথমিকের ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলার। বেশি নম্বর দেওয়ার অভিযোগে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা যায় না। ৩২,০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিল মামলার শুনানিতে এমনই যুক্তি পেশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাদের বক্তব্য, কয়েক জন আধিকারিক ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। কিন্তু তাঁরা টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি।
যে মামলার শুনানি পর্ষদের তরফে এমন যুক্তি পেশ করা হয়েছে, তা ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট নিয়ে। সেই বছর ১.২ লাখের মতো প্রার্থী টেটে পাশ করেছিলেন। বছরদুয়েক পর থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। চাকরি পেয়েছিলেন প্রায় ৪৩,০০০ জন। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক গলদের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল। তারপর ২০২৩ সালের ১৬ মে প্রশিক্ষণহীন ৩২,০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দুর্নীতির নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ ছাড়াই ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে হাই কোর্টের তৎকালীন সিঙ্গল বেঞ্চ।
পর্ষদ জানায়, নিয়ম মেনে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে। টাকা দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে, এমন কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তারা এ-ও জানিয়েছে, চাকরি বাতিলের কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি। ইন্টারভিউতে বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। কয়েক জনের বক্তব্যের ভিত্তিতে আদালত ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু সেখানেও নির্দিষ্ট করে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ নেই। অভিযোগ করা হচ্ছে যে টাকার বদলে চাকরি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুরোটা নেহাত অনুমানের ভিত্তিতে বলা হচ্ছে। টাকা দিয়ে যে চাকরি হয়েছে, সেরকম কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে পর্ষদের তরফে সওয়াল করা হয়।
আদালত জানায়, গরমের ছুটির পরে আবার এই মামলার শুনানি শুরু হবে। পর্ষদের তরফে আরও দু’দিন সওয়াল করার জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। আগামী ১২ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।
Comentários