বিদ্যুৎ বিভ্রাটের থেকে পরিত্রাণ পেতে বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের আধিকারিকদের সঙ্গে মন্ত্রীর বৈঠক
কলকাতা, ৩০ এপ্রিল: তীব্র গরমে, তাপপ্রবাহে নাজেহাল অবস্থা সকলের। তাপমাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মরুশহরের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে কলকাতার গরম। এই নাজেহাল পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে কেউ এসি, কুলার আবার কেউ ফ্যানের নিচে আশ্রয় নিচ্ছেন। ফলে ব্যাপকভাবে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। আর তাতেই ঘটছে বিপত্তি। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। এমনকী কলকাতাতেও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ উঠছে। ফলে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন শহরবাসী।
এ হেন পরিস্থিতিতে সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সোমবারের বৈঠকে বিদ্যুৎ দফতরের সচিব শান্তনু বসুও উপস্থিত ছিলেন। তীব্র গরমে কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায় তা নিয়ে এই বৈঠকে আধিকারিকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী। বৈঠকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবার জন্য কোথাও সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। কোথাও কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে সে ক্ষেত্রে কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সিইএসসি জানিয়েছে, তাদের কাছে ১০০ টি জেনারেটর রয়েছে। মন্ত্রীর নির্দেশ কোথাও কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে সেখানে জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে হবে। পাশাপাশি লোকবল ও মোবাইল ভ্যানের সংখ্যা আরও বাড়ানোর জন্য সিইএসসিকে বার্তা দেন মন্ত্রী। অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার কাছে এই মুহূর্তে রয়েছে ৪৫০ টি জেনারেটর। তাদেরকেও একইভাবে কোথাও বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হলে সেক্ষেত্রে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
সিইএসসি- র তরফে এক আধিকারিক জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যার সমাধানে সুপারভাইজ়ারি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডেটা অ্যাকুইজিশন সিস্টেম (এসসিএডিএ)-এর ব্যবহার করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে যে কোনও জায়গায় সমস্যা হলে দ্রুত পদক্ষেপ করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, এর আগেও সিইএসসির আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কিন্তু, তারপরও একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ উঠে আসছিল। তাই ফের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।
Comments