top of page

বাতিল সন্দীপ ঘোষের ডাক্তার তকমা, মুক্ত কলতান




কলকাতা, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪: বাতিল হয়ে গেল ডাক্তার তকমা। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল। নামের প্রেসক্রিপশনে আর ডাক্তার লিখতে পারবেন না সন্দীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে।




গত শুক্রবার ৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে শোকজ করেছিল মেডিক্যাল কাউন্সিল। বলা হয়েছিল নোটিস ইস্যু করার তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে। জবাব না দিলে অথবা তা সন্তোষজনক না হলে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে। সেই নোটিসের উপযুক্ত জবাব দেননি সন্দীপ। সে কারণে, নথিভুক্ত চিকিৎসকদের রেজিস্টার থেকে তাঁর নাম অপসারণ করা হল। আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতি এবং খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে এখন সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন সন্দীপ। পাশাপাশি আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ যে 'এক্সট্রা অর্ডিনারি' লিভ নিয়েছিল তা বাতিল করল স্বাস্থ্য দফতর। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১২ অগাস্ট পর্যন্ত সরকারি মাইনে পাবেন সন্দীপ ঘোষ। আর জি কর হাসপাতাল কে নির্দেশ দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।



বাম যুবনেতা কলতান দাশগুপ্তকে বৃহস্পতিবার মুক্তি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ৫০০ টাকার বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, আদালতের অনুমতি ছাড়া এই সংক্রান্ত মামলায় কলতানকে গ্রেফতার করা যাবে না। আদালতের অনুমতি ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও করতে পারবে না পুলিশ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, গ্রেফতারির পর কলতানের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। তাঁর মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আপাতত এই মামলায় আদালতের অনুমতি ছাড়া কলতানের বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত করারও প্রয়োজনীয়তা নেই।

উল্লেখ্য, জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনায় হামলার আশঙ্কা সংক্রান্ত একটি ফোনালাপের অডিও ১৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্যে আসে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এই অডিয়ো প্রকাশ করেন। তাতে শোনা গিয়েছিল, কেউ বা কারা সল্টলেকে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নাস্থলে হামলার ছক কষছেন। কুণালের অভিযোগ ছিল, ধর্নাস্থলে হামলা চালিয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে তার দায় চাপানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই অডিয়ো প্রকাশের পরেই পুলিশ তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। গ্রেফতার করা হয় কলতানকে।

আজ আদালতে বিচারপতি ভরদ্বাজ বলেন, ‘‘যদি হামলার ছক কষা হয়েই থাকে, তবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হল না কেন? পুলিশ কেন কোনও পদক্ষেপ করল না? ১৮-১৯ বছরের ছেলেমেয়েদের তুলে আনা হচ্ছে। ওদেরও ভবিষ্যৎ রয়েছে!’’ গ্রেফতারির আগে অডিয়ো ক্লিপ কী ভাবে রাজনৈতিক ব্যক্তি হাতে পেলেন, সে প্রশ্নও তোলে আদালত। আদালতের নির্দেশ, এফআইআর-এর বৈধতা নিয়ে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। পাল্টা চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে পারবেন কলতান নিজেও।

Comments

Rated 0 out of 5 stars.
No ratings yet

Add a rating

Top Stories

bottom of page