বাজেটে গ্রাম ও শহরে বিভিন্ন প্রকল্পের সমাহার
- The Conveyor
- Feb 12
- 1 min read

কলকাতা, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫: বুধবার বিকেলে বিধানসভায় বাজেট পেশ করেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থ প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত)। আগামী অর্থবর্ষে (২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ) রাজ্য সরকারের কী কী পরিকল্পনা, কোন খাতে কত টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে, কোন নয়া প্রকল্প শুরু করা হচ্ছে, রাজ্য সরকার কী কী সাফল্য পেয়েছে, সেটা তুলে ধরেন।
বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাগুলি হল: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো। যা কার্যকর হবে আগামী ১ এপ্রিল থেকে। 'সুফল বাংলা'-র অতিরিক্ত ৩৫০টি স্টল। গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ৯,৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। গ্রামীণ রাস্তা তৈরির জন্য ১,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। 'নদী বন্ধন' প্রকল্পের ঘোষণা। ৭০,০০০ আশাকর্মী এবং এক লাখের বেশিও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মচারীকে স্মার্টফোন প্রদান।
গত সপ্তাহে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থানের বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার রাজ্য বাজেট পেশের পরে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষেত্র ধরে জানিয়ে দিলেন, কোথায় কত কর্মসংস্থান হবে। মমতা বলেন, ‘‘এই বাজেটে আমার একটা ‘ভিশন’ রয়েছে। সেটা হল কর্মসংস্থান।’’ উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে এটাই ছিল মমতার সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট।
বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে এবং তাতে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে ছ’টি রাস্তা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যে রাস্তাগুলির দু’ধারে গড়ে উঠবে শিল্প। রঘুনাথপুর-তা়জপুর, ডানকুনি-ঝাড়গ্রাম, ডানকুনি-কল্যাণী, ডানকুনি-কোচবিহার, খড়্গপুর-মোড়গ্রাম এবং পুরুলিয়া-জোকা-কলকাতা— এই ছ’টি করিডর তৈরির প্রস্তাব রাখা হয়েছে বাজেটে। ২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষে এই ছ’টি রাস্তারই নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামীণ এলাকা এবং শহরের অর্থনীতির মেলবন্ধনের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পে কমিশনের টাকা-সহ এই ডিএ। ভবিষ্যতে আরও পাবেন। আমরা সবটাই ক্লিয়ার করব।’
Comments