top of page

পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শনিবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হল প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের

Writer's picture: The ConveyorThe Conveyor



২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪: মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য আজ সম্পন্ন হল দিল্লিতে। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শনিবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হল প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের। নিগমবোধ ঘাটে শনিবার তাঁর শেষকৃত্যের সময়ে উপস্থিত ছিলেন সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গে-সহ কংগ্রেসের অন্য নেতারা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং অন্য বিজেপি নেতা, প্রথম সারির কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং সেনাকর্তারা।

সকালে কংগ্রেসের সদর দফতরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মরদেহ শায়িত রাখা হয়। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং অন্য রাজনীতিকেরা। আজ তাঁর স্মৃতিসৌধ নিয়ে বিতর্কের আবহেই কংগ্রেসের সদর দফতর থেকে নিগমবোধ ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয় মনমোহন সিংয়েহ দেহ। তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মলয় ঘটক সকালে দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগেও এসেছিলেন মনমোহনকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। থিম্পু সংলগ্ন একটি বৌদ্ধগুম্ফায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে ভারতে সমস্ত দূতাবাস এবং উপদূতাবাসে ভুটানের পতাকা শনিবার অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভুটান সরকার। মরিশাস সরকারও এ দেশে তাদের দূতাবাস এবং উপদূতাবাসগুলিতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পতাকা অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সেনার ট্রাকে করে নিগমঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ মনমোহন সিংয়ের পুষ্পসজ্জিত মরদেহ মরদেহ শ্মশানে পৌঁছয়। মনমোহন সিংয়ের শেষযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতাকর্মী সহ-তাঁর অনুগামীরা। এদিন সকালে ৯টা নাগাদ বাসভবন থেকে মনমোহন সিংয়ের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কংগ্রেস অফিসের উদ্দেশে। সেই সময়ে তাঁকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, সনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করল পাকিস্তান। পাক সরকারের তরফে সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী ইশাক ডার শোকপ্রকাশ করেছেন। মনখারাপ পাকিস্তানে মনমোহনের গ্রামেরও। সেখানে শুক্রবার একটি শোকসভার আয়োজন করা হয়েছিল। ১৯৩২ সালে অবিভক্ত ভারতের গাহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মনমোহন। গ্রামটি এখন পাকিস্তানের অন্তর্গত। রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে মনমোহনের গ্রাম। সেখানেই তাঁর ছোটবেলা কেটেছিল।

প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য কোথায় সম্পন্ন হবে, তা নিয়ে শুক্রবার কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধের পরিস্থিতি তৈরি হয় কংগ্রেসের। তারা চাইছিল, যমুনার তীরে রাজঘাটের আশপাশের কোনও জমিতে মনমোহনের শেষকৃত্য হোক। তাদের বক্তব্য, নিগমবোধ ঘাটে শেষকৃত্য হলেও ওই স্থান স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উপযুক্ত নয়, দাবি কংগ্রেসের। এর আগে দেশের কোনও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য এই শ্মশানে হয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস। এই বিতর্কের আবহে বৃহস্পতিবার রাতেই একটি বিবৃতি প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্র জানায়, মনমোহনের স্মৃতিসৌধ তৈরির জন্য জায়গা দেওয়া হবে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় কিছুটা সময় লাগবে। কারণ জমি বরাদ্দ করতে এবং স্মৃতিসৌধ তৈরির ক্ষেত্রে একটি ট্রাস্ট গঠন করতে হবে। আজ রাতেই এ নিয়ে বৈঠকে বসতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।

Hozzászólások

0 csillagot kapott az 5-ből.
Még nincsenek értékelések

Értékelés hozzáadása

Top Stories

bottom of page